শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ শুরু করেও হঠাৎ ধসে পড়ে বড় ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। মাত্র ২০ বলে ছয় উইকেট হারিয়ে ১০১ থেকে ১০৭ রানে পৌঁছায় দলটি, যা ওয়ানডে ইতিহাসে অন্যতম দ্রুত ধসের রেকর্ড।
ম্যাচ শেষে নিজের হতাশা প্রকাশ করে তাসকিন আহমেদ বলেন, “আসলে শুরুটা খুব ভালো হয়েছিল। আমরা ১০০-১ অবস্থায় ছিলাম, কিন্তু তারপর যা ঘটেছে, সেটা অপ্রত্যাশিত ও কষ্টদায়ক।”
র. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার ২৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ৩৫.৫ ওভারে ১৬৭ রানে। তাসকিন বলেন, “বল হাতে আমরা খারাপ করিনি, তবে আরও ভালো হতে পারত।”
তাসকিন আরও জানান, ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় হাসারাঙ্গার একটি ওভারে। “সেই ওভারে শান্ত রান আউট হওয়ার পর তামিমের উইকেট, ওটাই টার্নিং পয়েন্ট ছিল,” বলেন তিনি।
ফিরে আসার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “আমি চাচ্ছিলাম আমরা ৫-৬ ওভার বাকি রেখেই জিতে যাব। কিন্তু হঠাৎ collapse হয়ে গেল। খুব খারাপ লাগছে। আমি নিজেও একজন খেলোয়াড় হিসেবে ব্যথা অনুভব করছি।”
দলের ভুল ও মনোসংযোগের অভাব নিয়েও কথা বলেন তাসকিন। “আমরা হয়তো খুব বেশি রিল্যাক্সড হয়ে গিয়েছিলাম। সবকিছু আমাদের পক্ষে যাচ্ছিল। হঠাৎ একটি রান আউট এবং তামিম আউট হয়ে যাওয়ায় আমরা চাপে পড়ে যাই।”
তাসকিনের মতে, জাকের আলির ইনিংসই প্রমাণ করে উইকেট অতটা খারাপ ছিল না। “জাকের শেষদিকে ভালো ব্যাট করেছে। ওর সঙ্গে যদি আরও দুইজন ব্যাটার থাকত, আমরা ম্যাচ জিততাম।”
বাংলাদেশের চলমান পরিবর্তনের সময়কাল নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। “আমরা বারবার বলছি ট্রানজিশন পিরিয়ড, কিন্তু এখন আমাদের বেরিয়ে আসতেই হবে। খেলা সচেতনতা ও দলীয় পরিবেশ উন্নত করার চেষ্টা চলছে।”
ভবিষ্যতের জন্য আত্মবিশ্বাস রেখে তাসকিন বলেন, “সমর্থকরা আমাদের ভালো কিছু করতে দেখতে চায়। আমরা দুঃখিত যে এমন ম্যাচ হেরেছি। তবে আমরা কাজ করে যাব, স্বপ্ন দেখে যাব। বাকিটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা।”