এশিয়া কাপ সুপার সিক্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ১১ রানে হেরে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি লিটন কুমার দাসের অনুপস্থিতি এবং গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ ফেলার কারণে দলের হারের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিটন সাম্প্রতিক ফর্মে ছিলেন শক্তিশালী। শেষ পাঁচটি টি২০ আই ইনিংসে তিনি দুটি অর্ধশতক করেছেন এবং মোট ২৭৩ রান করেছেন। অনুশীলনের সময় আঘাতের কারণে ম্যাচে খেলতে না পারায় দলের ব্যাটিংয়ে বড় প্রভাব পড়ে। সিমন্স বলেন, “এমন একজন খেলোয়াড় হারানো বড় চ্যালেঞ্জ। তার মত একজন ক্লাসের ব্যাটসম্যান না থাকলে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যায়।”
কোচ মাঝের ওভারে ব্যাটিং কৌশলের ত্রুটিও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬৯ রানের সহজ চেজের সময় আমরা চাপমুক্ত ছিলাম। আজ আমাদের কেবল জিততে হতো, কিন্তু খারাপ সিদ্ধান্ত আমাদের পেছনে ফেলেছে।”
মাহেদী হাসানকে নং ফোর ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রোমোট করার সিদ্ধান্তকেও সিমন্স ব্যাখ্যা করেছেন। পাকিস্তানের পেসারদের মোকাবিলার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিনি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ ফেলার কথাও উল্লেখ করেছেন, যা পাকিস্তানের লোয়ার অর্ডারকে সুবিধা দিয়েছে। তিনি বলেন, “শাহীন এবং নওয়াজকে ধরা না গেলে ম্যাচের গতিপথ বদলে যেত। আগে আমরা নিয়ন্ত্রণে ছিলাম।”
সিমন্স ডুবাই ফ্লাডলাইটের ওপর দোষ চাপানোর পরিবর্তে দীর্ঘ পার্টনারশিপের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের স্ট্রাইক রেট কম হলেও আমরা ছয় মারার ক্ষেত্রে শীর্ষে। গুরুত্বপূর্ণ হলো দীর্ঘ সময় ব্যাটিং করে পার্টনারশিপ তৈরি করা।”
তবুও সিমন্স ইতিবাচক দিকও খুঁজেছেন। ওপেনার সাইফ হাসানের পারফরম্যান্স এবং পুরো টুর্নামেন্টে বোলিং ইউনিটের ধারাবাহিকতা প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “সাইফ হাসান নিশ্চিতভাবে এই প্রচারের সবচেয়ে বড় ইতিবাচক। অন্যটি হলো আমাদের বোলারদের পুরো টুর্নামেন্টে যথাযথ পারফরম্যান্স।”