Friday, June 27, 2025
Homeজাতীয়চীন-পাকিস্তানের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক নতুন জোট নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

চীন-পাকিস্তানের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক নতুন জোট নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ভারতকে ঘিরে কোনও ষড়যন্ত্র নয়, বৈঠক ছিল শুধুমাত্র যোগাযোগ ও উন্নয়নমূলক আলোচনায় সীমাবদ্ধ

চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের একটি ‘অফিশিয়াল পর্যায়ের’ বৈঠককে কেন্দ্র করে নতুন জোট গঠনের আলোচনা উঠলেও, বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ধারণা নাকচ করে দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, “আমরা কোনো জোট গঠন করছি না। এটি ছিল অফিসিয়াল পর্যায়ের বৈঠক, রাজনৈতিক নয়। এতে জোট গঠনের কোনো উপাদান ছিল না।”

তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, “এটি কোনো তৃতীয় পক্ষকে, বিশেষ করে ভারতকে, লক্ষ্য করে করা হয়নি। আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে পারি।”

গত ১৯ জুন চীনের কুনমিং শহরে অনুষ্ঠিত নবম চীন-দক্ষিণ এশিয়া এক্সপো এবং ষষ্ঠ চীন-দক্ষিণ এশিয়া সহযোগিতা ফোরামের ফাঁকে এই ত্রিপাক্ষিক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, এই বৈঠকে ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে ‘বিস্তৃত আলোচনা’ হয় এবং ‘ভাল প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং সমন্বিত উন্নয়ন’-এর ভিত্তিতে একসাথে এগিয়ে যাওয়ার সম্মতি জানানো হয়।

অন্যদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বৈঠককে “বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান ত্রিপাক্ষিক ব্যবস্থার উদ্বোধনী বৈঠক” হিসেবে উল্লেখ করে।

এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হোসেন বলেন, “এটি কিছু বড় কিছু নয়, কোনও গঠনতান্ত্রিক ব্যবস্থাও নয়। তাই অস্বীকার করারও কিছু নেই।”

তিনি বলেন, “বৈঠকে মূলত যোগাযোগ এবং অবকাঠামোগত বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে অগ্রগতি হলে আপনাদের জানানো হবে। এখনই কোনো জল্পনার প্রয়োজন নেই।”

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, যদি ভারত, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজন করতে চায়, তাহলে বাংলাদেশ আগ্রহী থাকবে।

ভারতের সঙ্গে বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, “আগের সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, তা এখন নেই। তবে আমাদের পক্ষ থেকে সদিচ্ছার কোনো ঘাটতি নেই।”

এই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিত্ব করেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী, চীন থেকে অংশ নেন ভাইস ফরেন মিনিস্টার সান ওয়েইডং এবং পাকিস্তানের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী।

তিন দেশের প্রতিনিধি দল পারস্পরিক আস্থা ও সমঝোতার ভিত্তিতে অবকাঠামো, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, স্বাস্থ্য, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ প্রস্তুতি সহ একাধিক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়ে মতবিনিময় করে।

সিদ্দিকী বলেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশীদার হিসেবে তিন দেশ একসাথে ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করতে পারে।

তিনি জানান, বাস্তবমুখী উন্নয়ন এবং জনগণের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে তিন দেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার সময় এসেছে।

RELATED NEWS

Latest News