সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সোমবার অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জল সংক্রান্ত সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে বাংলাদেশ সীমানাপার নদী সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সমতা ও সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সেশনে বক্তৃতা দিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের জন্য নদী শুধুই নদী নয়, এগুলো আমাদের জীবনরেখা।”
বাংলাদেশকে জাতিসংঘের জল সংক্রান্ত কনভেনশনের সর্বশেষ সদস্য হিসেবে উপস্থাপন করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তের বাইরে উৎপন্ন নদীর ওপর নির্ভরশীল। তাই দেশের পক্ষ থেকে সীমানাপার নদী ব্যবস্থাপনায় সমতা, যৌক্তিক ব্যবহার, অংশগ্রহণ ও কোনো ক্ষতি না করার নীতি মেনে চলা হবে।
অর্জন ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ
তিনি বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এবং যৌথ নদী কমিশনের মাধ্যমে অর্জিত অগ্রগতি তুলে ধরেন। পাশাপাশি জলব Basin–ভিত্তিক আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত উল্লেখ করেন, যেখানে সব নদীকে “জীবন্ত সত্তা” ঘোষণা করা হয়েছে। এই রায় পরিবেশগত আইনের ক্ষেত্রে একটি মডেল হিসেবে বিবেচিত।
তিনি বাংলাদেশের চলমান পদক্ষেপের বিষয়ে বলেন, প্রতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা, নদীর দূষণ, খারাপ পানি প্রবাহ, লবণাক্ততা বৃদ্ধি ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য কাজ চলছে।
মহামুদ ফৌজুল কবির খান, সড়ক পরিবহন ও সেতু, রেলপথ এবং বিদ্যুৎ, শক্তি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
জল নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক সহযোগিতা
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সীমানাপার জলসম্পদ ও আন্তর্জাতিক হ্রদ সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশনে যোগদান করেছে। জেনেভায় ২০তম মিটিং অফ দ্য পার্টিজে দেশটি আশা করছে যে, সদস্যপদ নদী নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং টেকসই জল ভবিষ্যতের জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে।