ঢাকায় প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ১১০ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। জবাবে, ওপেনার পারভেজ হোসেনের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ১৫.৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
তাসকিন ৩টি উইকেট নেন মাত্র ২২ রানে এবং মুস্তাফিজ ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে তুলে নেন ২টি উইকেট। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের সর্বনিম্ন টি-টোয়েন্টি স্কোর।
পারভেজ হোসেন মাত্র ৩৯ বলে ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন, যাতে ছিল পাঁচটি ছক্কা ও তিনটি চার। তাওহীদ হৃদয় ৩৬ রান করে তাকে দারুণ সঙ্গ দেন। তারা মিলে ৭৩ রানের জুটি গড়ে ম্যাচকে একতরফা করে তোলেন।
পাকিস্তানের হয়ে অভিষিক্ত পেসার সালমান মির্জা দুটি উইকেট নিয়ে শুরুতে বাংলাদেশকে কিছুটা চাপে ফেললেও সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে ২৩টি টি-টোয়েন্টিতে এটি বাংলাদেশের পাকিস্তানের বিপক্ষে চতুর্থ জয়। পাকিস্তানের আগে সর্বনিম্ন টি-টোয়েন্টি স্কোর ছিল ১২৭ রান, সেটিও এই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেই।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। ৮ম ওভারেই তাদের অর্ধেক দল প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় মাত্র ৪৬ রানে। সাইম আইয়ুব (৬), মোহাম্মদ হারিস (৪) ও অধিনায়ক সালমান আগা (৩) ব্যর্থ হন। হাসান নওয়াজ শূন্য ও মোহাম্মদ নওয়াজ মাত্র ৩ রান করে আউট হন।
ফখর জামান কিছুটা লড়াই করেন, ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন ৬টি চার ও ১টি ছক্কায়। তবে তিনি দু’বার ক্যাচ মিসের সুযোগ পেলেও রানের দিক থেকে সেভাবে দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি। তাকে রান আউট করেন খুশদিল শাহ।
পরে খুশদিল ও আব্বাস আফ্রিদি মিলে সপ্তম উইকেটে ৩৩ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে ১০০ রানের গণ্ডি পার করান। আফ্রিদি করেন ২২ ও খুশদিল করেন ১৭ রান।
তিন ম্যাচের এই সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ হবে আগামী মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার, উভয়টিই ঢাকায়। সিরিজে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ এখন আত্মবিশ্বাসী।
ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, এই জয়টি বাংলাদেশ দলের জন্য বড় আত্মবিশ্বাসের উৎস হবে, বিশেষ করে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির আগে এমন একটি বড় দলের বিপক্ষে সাফল্য।