Friday, July 25, 2025
Homeঅর্থ-বাণিজ্যবাংলাদেশ ব্যাংকে নতুন পোশাক নীতিমালা কার্যকর, অফিসে শালীনতা ও শৃঙ্খলার ওপর জোর

বাংলাদেশ ব্যাংকে নতুন পোশাক নীতিমালা কার্যকর, অফিসে শালীনতা ও শৃঙ্খলার ওপর জোর

নারী-পুরুষ সবার জন্য পেশাদার পোশাক বাধ্যতামূলক, ব্যত্যয় ঘটলে শাস্তির বিধান

বাংলাদেশ ব্যাংকে চালু হয়েছে নতুন পোশাক নীতিমালা। শৃঙ্খলা ও পেশাদার পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যাংকের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য শালীন ও পেশাদার পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সোমবার (২১ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ-২ থেকে জারি করা এক নির্দেশনায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

নতুন নীতিমালায় নারী কর্মীদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও ওড়না অথবা শালীন পেশাদার পোশাক নির্ধারিত হয়েছে। শর্ট স্লিভ, ছোট দৈর্ঘ্যের জামা ও লেগিংস পরা নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। হিজাব পরিধান করলে তা সরল ডিজাইন ও মিতব্যয়ী রঙের হতে হবে।

পুরুষ কর্মীদের জন্য ফর্মাল শার্ট ও ট্রাউজার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জিন্স ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট নিষিদ্ধ। সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ফর্মাল জুতা বা স্যান্ডেল পরিধান করতে হবে। কোনো ব্যত্যয় শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে গণ্য হবে।

বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, “প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাম্য, ঐক্য ও শালীনতা বজায় রাখাই মূল লক্ষ্য। নির্দেশনাটি ২১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “হিজাব বাধ্যতামূলক নয়। কেউ পরলে তা সরল ডিজাইনের হতে হবে। অফিস প্রাঙ্গণে এ নিয়ম প্রযোজ্য, ব্যক্তিগত পরিসরে নয়।”

নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কিছু কর্মী ক্যাম্পাসমুখী আচরণ বহন করছেন, যা লক্ষ্য করে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনার প্রয়োজন দেখা দেয়।

নীতিমালার ১১(ঘ) ধারা অনুযায়ী, ‘সি’ ও ‘ডি’ শ্রেণির কর্মকর্তা ছাড়া সব কর্মচারীদের জন্য সমাজসম্মত, শালীন ও পেশাদার পোশাক বাধ্যতামূলক।

এছাড়া, নির্দেশনার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো হলো:

  • ১১(ক): নারী কর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংক স্টাফ বিধিমালা ২০০৩ এর ৩৯ ধারার আলোকে সম্মানজনক আচরণ নিশ্চিত করতে হবে। যৌন হয়রানির অভিযোগ ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিতে জমা দিতে হবে।

  • ১১(খ): সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে অফিসের নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।

  • ১১(গ): সময়নিষ্ঠা, সততা, সহকর্মীদের প্রতি সম্মান ও সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রত্যেক বিভাগ, অফিস বা প্রকল্পে একজন কর্মকর্তাকে নিয়ম পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ব্যত্যয় হলে বিভাগীয় প্রধানকে জানাতে হবে এবং প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এই উদ্যোগকে প্রতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পরিবেশ রক্ষার দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

RELATED NEWS

Latest News