বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের পদমর্যাদা ও ক্ষমতা বাড়াতে তাকে পূর্ণ মন্ত্রিপরিষদ সদস্যের মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সম্প্রতি প্রণীত “বাংলাদেশ ব্যাংক অধ্যাদেশ (সংশোধন) ২০২৫” খসড়াটি আর্থিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী তৈরি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগে পাঠানো হয়েছে পর্যালোচনার জন্য।
প্রস্তাবটি অনুমোদিত হলে গভর্নরের পদ মর্যাদা, প্রভাব ও সুবিধা দেশের প্রশাসনিক কাঠামোয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
বর্তমানে জাতীয় অগ্রাধিকারের তালিকা ১৯৮৬ অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ১৫তম স্থানে আছেন—যা মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধান সচিবের নিচে হলেও অন্যান্য সচিব ও অ্যাটর্নি জেনারেলের সমপর্যায়ের।
প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, গভর্নরকে মন্ত্রিসভার সদস্যের মর্যাদা দিলে পদটিতে বাড়তি স্বাধীনতা ও সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষমতা যোগ হবে।
এই মর্যাদার সঙ্গে যুক্ত থাকবে মন্ত্রীদের সমপর্যায়ের আর্থিক সুবিধা ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা, যেমন—
মাসিক করমুক্ত বেতন: ১ লাখ ৫ হাজার টাকা
দৈনিক ভাতা: ২ হাজার টাকা
মাসিক নিয়ন্ত্রণ ভাতা: ১০ হাজার টাকা
বিবেচনাধীন তহবিল: ১০ লাখ টাকা
সরকারি বাসভবন: গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ ও টেলিফোন বিলসহ সম্পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ সরকারের দায়িত্বে
বাড়িভাড়া ভাতা (বাসা না নিলে): মাসিক ৮০ হাজার টাকা
সরকারি গাড়ি: রাজধানীর বাইরে যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত জিপসহ একাধিক গাড়ি, রক্ষণাবেক্ষণের সমস্ত ব্যয় সরকার বহন করবে
এই পদক্ষেপটি বাস্তবায়িত হলে গভর্নরের প্রশাসনিক প্রভাব ও নীতি নির্ধারণী ভূমিকা আরও শক্তিশালী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
