আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ইতিমধ্যে ২–০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে, যেখানে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে মরিয়া টাইগাররা।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। তখন দলের অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এবার স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবেই তিনি আবার একই পরিস্থিতিতে। আইরনির বিষয় হলো, এই আফগানিস্তানকেই মাত্র এক সপ্তাহ আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু ওয়ানডেতে গল্পটা পুরো উল্টো। দুই ম্যাচেই আফগানিস্তানের স্পিন আক্রমণের সামনে ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের মধ্যক্রম। বিশেষ করে রশিদ খান দারুণ ছন্দে আছেন। এখন পর্যন্ত সিরিজে আট উইকেট নিয়েছেন তিনি, যার মধ্যে দ্বিতীয় ম্যাচে ছিল পাঁচ উইকেটের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। দুই ম্যাচে মাত্র ৫৫ রান খরচ করে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামিয়েছেন এই লেগ স্পিনার।
নতুন বলে ধারাবাহিকভাবে আফগান পেসার আজমাতউল্লাহ ওমরজাইও ভুগিয়েছেন বাংলাদেশকে। গত বছরের আইসিসি বর্ষসেরা ওয়ানডে খেলোয়াড় তিনি। এই সিরিজেও ছয় উইকেট নিয়েছেন, দুই ম্যাচেই তিনটি করে। তার আগুনে পেসে ব্যাটিং অর্ডারের ওপরের অংশ বারবার ভেঙে পড়েছে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ এখন নাম্বার তিনে নাজমুল হোসেন শান্তর ফর্ম। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৭ রানের ইনিংসের পর তার শেষ পাঁচ ইনিংস যথাক্রমে ২৩, ১৪, ০, ২ ও ৭। শান্তর ব্যর্থতায় মিডল অর্ডারে চাপ বেড়েছে, যেখানে বেশিরভাগই ডানহাতি ব্যাটার। রশিদের লেগ স্পিনের বিপক্ষে এই ডানহাতি আধিক্য অনুকূল নয়, যার ফলে টানা ডট বলের পর ভুল শটে আউট হচ্ছেন তৌহিদ হৃদয়, মিরাজ, জাকার আলি ও নুরুল হাসান সোহান।
দলে ভারসাম্য আনতে বাঁহাতি ব্যাটার শামীম হোসেনকে দলে নেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি ওপেনিং জুটিতেও পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা আছে। ভিসা জটিলতায় প্রথম ওয়ানডেতে না খেলা মোহাম্মদ নাইম শেখকে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
বোলিং বিভাগে রোটেশন নীতি অনুসারে কিছু পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। তবে পেসার ও স্পিনার—দুই বিভাগই এখন পর্যন্ত ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।
আজকের ম্যাচে জয় ছাড়া বিকল্প নেই মিরাজদের জন্য। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে হলে শুরু থেকেই ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলতে হবে দলকে। আবুধাবির গরমে বাংলাদেশ কতটা লড়াই দিতে পারে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।