বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সোমবার ৩৩৪ মিলিয়ন ডলারের ঋণ ও অনুদান চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই অর্থ বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ, পানি সরবরাহ উন্নয়ন এবং মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষ ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহার হবে।
ঢাকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চুক্তিতে সই করেন ইআরডি সচিব শহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার গুণগত মান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ৯১ মিলিয়ন ডলারের নর্থওয়েস্ট ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক মডার্নাইজেশন প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। এতে জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ, স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার, সোলার ব্যাকআপ ব্যবস্থা এবং প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে বিদ্যুতের মাধ্যমে জীবিকা উন্নয়নের সুযোগ তৈরি হবে।
প্রকল্পের অংশ হিসেবে নতুন সাবস্টেশন ও সুইচিং স্টেশন নির্মাণ, বিদ্যমান স্থাপনাগুলোর আধুনিকীকরণ এবং ব্যাটারিসহ সোলার রুফটপ সিস্টেম স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি জাপানের অর্থায়নে জেপিএফআরপি থেকে পাওয়া ২ মিলিয়ন ডলারের অনুদান বন্যাপ্রবণ এলাকায় দুর্যোগ প্রস্তুতি জোরদারে ব্যয় হবে।
খুলনা ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প (ফেজ-২) এর জন্য ১৫০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ ও ৪ মিলিয়ন ডলারের অনুদান দেওয়া হবে। এতে খুলনা শহরের প্রায় ১৭ লাখ ৮০ হাজার মানুষকে পাইপলাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হবে। প্রকল্পটি ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে টেকসই সারফেস ওয়াটার ব্যবহারের দিকে শহরকে এগিয়ে নেবে। স্মার্ট পানি ব্যবস্থাপনা, এসসিএডিএ সিস্টেম সম্প্রসারণ এবং পানির অপচয় কমানোও প্রকল্পের অংশ।
অন্যদিকে, বাস্তুচ্যুত মানুষ ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সমন্বিত সেবা ও জীবিকা উন্নয়ন প্রকল্পে বাংলাদেশ পাবে ৫৮.৬ মিলিয়ন ডলারের অনুদান ও ২৮.১ মিলিয়ন ডলারের স্বল্পসুদে ঋণ।
এই প্রকল্পে কক্সবাজার ও ভাসানচরে পানি, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যবিধি, বিদ্যুৎ, দুর্যোগ সহনশীল অবকাঠামো ও সামাজিক সম্প্রীতি জোরদার করা হবে। উদ্যোগের মধ্যে থাকছে সৌরশক্তি চালিত স্ট্রিটলাইট, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বায়োগ্যাস উৎপাদন, প্রাকৃতিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা, খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র, সাইক্লোন শেল্টার, মিনি পানি সরবরাহ ব্যবস্থা এবং সড়ক যোগাযোগ উন্নয়ন।