বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
ঘটনাটি ঘটে রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে। দুর্ঘটনার পরপরই নিহতদের কিছু মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। গত ২৭ জুলাই সিআইডির একটি দল মোট ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষা শুরু করে।
বৃহস্পতিবার সিআইডি জানায়, পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে পাঁচজন নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। নিহতরা হলেন:
ওকিয়া ফেরদৌস, পিতা মো. ফারুক হোসেন, মাতা সালমা আক্তার
লামিয়া আক্তার সোনিয়া, পিতা মো. বাবুল, মাতা মজেদা
আফসানা আক্তার প্রিয়া, পিতা আব্বাস উদ্দিন, মাতা মিনু আক্তার
রাইসা মনি, পিতা সাহাবুল শেখ
মারিয়াম উম্মে আফিয়া, পিতা আবদুল কাদির, মাতা উম্মে তামিমা
সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই পাঁচজনের পরিচয় ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনায় আহত এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ জনে।
সরকার বুধবার সকালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের নাম প্রকাশ করে।
বিমান বিধ্বস্তের এই মর্মান্তিক ঘটনার পর দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান শেষ হলেও পরিচয় শনাক্ত ও ক্ষতিপূরণের কার্যক্রম এখনো চলমান।
সরকারিভাবে নিহতদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও ক্ষতিপূরণ প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এই দুর্ঘটনা আবারও দেশের নিরাপত্তা ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় সামরিক বিমানের প্রশিক্ষণ উড্ডয়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা।