ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৫, ০৬:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (১৩ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়া চলমান থাকা পর্যন্ত দলটির এবং এর অঙ্গসংগঠনের সব ধরনের রাজনৈতিক, সাংগঠনিক ও প্রচারমূলক কর্মকাণ্ড স্থগিত থাকবে।
এই ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিয়ে মতামত বা সংবাদ প্রকাশ করা যাবে কিনা, সে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গণহত্যায় অভিযুক্ত দলটির বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের প্রচার, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।”
তবে এর মধ্যেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত হয়ে পড়ছে কি না— সে প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবীরা।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন বিবিসিকে বলেন, “নিষিদ্ধ সত্তার পক্ষে যদি কেউ কিছু বলে বা লিখে, সেটা আইনভঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে— বিষয়টি এখানেই উদ্বেগজনক।”
আরেক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, “সাংবাদিকতা বা মতামত প্রকাশের অধিকার রয়ে গেছে, তবে কোনোভাবেই দলটির পক্ষে প্রচার বা সমর্থন করা যাবে না।”
আরও পড়ুন:
- আন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত: নিষিদ্ধ হচ্ছে আওয়ামী লীগের রাজনীতি
- চট্টগ্রামে তারুণ্যের সমাবেশে মির্জা ফখরুল: ‘১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না’
- নিষিদ্ধ ঘোষণার পর পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ কার্যালয়
আইন বিশ্লেষকদের মতে, যেহেতু সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, তাই আইনটির পরিধি এবং ব্যাখ্যার দুর্বলতা থেকে অপব্যবহার হওয়ার ঝুঁকি রয়ে গেছে।
এরই মধ্যে সরকার দলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ফেসবুক পেজ ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
মানবাধিকারকর্মীদের দাবি, এমন সিদ্ধান্তে মতপ্রকাশ ও গণতান্ত্রিক অধিকার হুমকির মুখে পড়তে পারে। সরকার অবশ্য বলছে, এটি শুধু বিচারাধীন একটি দলের ওপর কার্যকর, অন্য কোনো রাজনৈতিক দল বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এতে ব্যাহত হবে না।