জেমস ক্যামেরনের ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ দর্শকদের এক নতুন প্যান্ডোরায় ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। প্রথম ছবির পর সময় পার হওয়ার মধ্য দিয়ে দেখা মেলে সুল্লি পরিবারের নতুন সদস্যদের। ছিলেন বড় ছেলে নেটেয়াম, ছোট ভাই লো’আক, ছোট বোন টুকতিরেই, দত্তক কন্যা কিরি এবং মানব শিশু স্পাইডার।
কিন্তু ছবির শেষ ভাগে এক দুঃখজনক ঘটনায় মারা যায় নেটেয়াম। এ ঘটনা শুধু পরিবারের নয়, গোটা গল্পপথেই প্রভাব ফেলবে।
ডিসেম্বরে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘Avatar: Fire And Ash’। তার আগেই চরিত্রগুলোর মানসিক পরিবর্তনের আভাস দিয়েছে নির্মাতারা। এম্পায়ার ম্যাগাজিনের ‘পাথ টু প্যান্ডোরা’ সিরিজে সিনেমার কিশোর চরিত্রদের নিয়ে কথা বলেছেন তারা।
লো’আক চরিত্রে অভিনয় করা ব্রিটেন ডালটন জানিয়েছেন, “সে একজন নেতার মতো জন্মেছে কিন্তু কখনো সুযোগ পায়নি। নেটেয়ামের মৃত্যু তাকে নেতৃত্বের অবস্থানে এনেছে, কিন্তু এভাবে সেটা কখনোই চায়নি। সে নিজেকেই দায়ী মনে করে।”
টুক চরিত্রে অভিনয় করা ট্রিনিটি ব্লিস বলেন, “এটাই তার জীবনে প্রথম কোনো মৃত্যুর অভিজ্ঞতা। সে হয়তো আগের মতো থাকবে না। তবে সে এখনো সাহসী এবং শক্তিশালী।”
স্পাইডারের পরিস্থিতি আরও জটিল। সে একদিকে দত্তক নেওয়া নাভি পরিবারে বেড়ে উঠেছে, অন্যদিকে তার জৈবিক পিতা হচ্ছে কুখ্যাত কোয়ারিচ। অভিনেতা জ্যাক চ্যাম্পিয়ন বলেন, “সে দ্বন্দ্বে ভুগছে। তার বাবা নাভি রূপে ফিরে এসেছে এবং আগের চেয়েও খারাপ। তবু সে তাকে বাঁচাতে চেয়েছে। এই দায়বোধই তাকে কোথায় দাঁড় করাবে তা সিনেমায় দেখা যাবে।”
লো’আকের ঘনিষ্ঠ মেটকাইনা কন্যা সাইরেয়াও থাকছেন এবার। অভিনেত্রী বেইলি বাস জানান, “সাইরেয়া একটা টানাপোড়েনে আছে। একদিকে ন্যায় ও সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো, অন্যদিকে শৈশব থেকে শেখা নিয়মকানুন।”
চলচ্চিত্র বিশ্লেষকদের মতে, এবার stakes বা ঝুঁকির মাত্রা আগের চেয়ে অনেক বেশি।
অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ ছবি মুক্তি পাবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে। ভক্তরা আশা করছেন, আগের ছবির আবেগ আর নতুন কাহিনির টানাপোড়েন দর্শকদের আরও গভীরে নিয়ে যাবে প্যান্ডোরার জগতে।