নেপালে ৭,১২৬ মিটার (২৩,৩৭৯ ফুট) উঁচু হিমলুং হিমাল পর্বতশৃঙ্গ আরোহণের সময় এক অস্ট্রেলীয় পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার নেপালের পর্যটন কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত পর্বতারোহীর নাম চিন-টার্ক চ্যান এবং তার বয়স ৪৯ বছর। গত ২৯ অক্টোবর তিব্বত সীমান্তের কাছে অবস্থিত এই পর্বতশৃঙ্গে আরোহণের সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
নেপালের পর্যটন বিভাগের পরিচালক হিমাল গৌতম বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “৬,১০০ মিটার উচ্চতায় তার মৃত্যু হয়।” তিনি আরও জানান, পর্বতের ওই অংশে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান সফল হয়নি।
গৌতম বলেন, “তার মরদেহ ক্যাম্প-৩ থেকে ক্যাম্প-২ এ নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এরপর হেলিকপ্টারে করে মরদেহ কাঠমান্ডুতে নিয়ে আসা হবে।” তবে ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এই অভিযানে চ্যানের সঙ্গী সংস্থা ‘৮কে এক্সপিডিশনস’ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক লাকপা শেরপা জানিয়েছেন, চিন-টার্ক চ্যান গত বছরও হিমলুং আরোহণের চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বলেন, “সেবারও স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি সফল হতে পারেননি।”
অভিযান পরিচালনাকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, চ্যানের মরদেহ কাঠমান্ডুতে ফিরিয়ে আনার জন্য তারা তার পরিবার এবং অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।
হিমলুং হিমাল অন্নপূর্ণা এবং মানাসলু রেঞ্জের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। চলতি শরৎ মৌসুমে প্রায় ৪০০ জন পর্বতারোহী এই পর্বতশৃঙ্গ আরোহণের জন্য এসেছিলেন। সাধারণত আগস্টের শেষ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত শরৎ মৌসুম চলে।
বসন্ত মৌসুমের তুলনায় শরৎকালে হিমালয়ে অভিযান কম জনপ্রিয়। কারণ এ সময় দিন ছোট ও শীতল থাকে এবং তুষারপাতের কারণে চূড়ায় পৌঁছানোর সুযোগও সীমিত থাকে।
উল্লেখ্য, গত মাসে মাউন্ট আমা দাবলামে অভিযানে গিয়ে ফ্রান্সের একজন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার আরেকজন পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছিল। বিশ্বের সর্বোচ্চ ১০টি পর্বতশৃঙ্গের মধ্যে ৮টির অবস্থান নেপালে, যার মধ্যে মাউন্ট এভারেস্টও রয়েছে। প্রতি বছর শত শত পর্বতারোহী এই শৃঙ্গগুলো জয় করতে নেপালে আসেন।
