গ্রেনাডায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৩৩ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ দিনের আগে টি-সেশনের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। ফলে তিন ম্যাচ সিরিজে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে আরও একবার নিশ্চিত করল ফ্র্যাঙ্ক ওরেল ট্রফি, যেটি তারা টানা ২০ বছর ধরে ধরে রেখেছে।
২৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই পেসড উইকেটে ব্যাটিং করা কঠিন হয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য। ৩৪.৩ ওভারে ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে যায় দলটি।
অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ও ন্যাথান লায়ন তিনটি করে উইকেট নিয়ে মূল ধ্বংসযজ্ঞ চালান। স্টার্কের টেস্ট উইকেট সংখ্যা এখন ৩৯৪, আর একটি টেস্টেই হয়তো তিনি পৌঁছে যাবেন ৪০০ উইকেটের মাইলফলকে, যা হবে তার ১০০তম টেস্ট।
অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৩ রানে অলআউট হলেও আলেক্স কেরির গুরুত্বপূর্ণ ৩০ রানের ইনিংস ও প্রথম ইনিংসের ৬৩ রান তাকে ম্যাচসেরা করে তোলে।
কেরি বলেন, “এই সিরিজে উইকেটগুলো চ্যালেঞ্জিং হলেও খেলার আনন্দটাই আলাদা। টেস্ট ক্রিকেটে মানিয়ে নেওয়াটাই মূল বিষয়।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন অধিনায়ক রোস্টন চেজ। শুরুতেই একের পর এক উইকেট হারিয়ে বড় জুটির আশা ভঙ্গ হয় দলটির।
অস্ট্রেলিয়ার জশ হ্যাজেলউড, স্টার্ক, বো ওয়েবস্টার ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্স সকালের সেশনেই একেকটি উইকেট তুলে নিয়ে লাঞ্চের আগেই স্বাগতিকদের দাঁড় করিয়ে দেন ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারানো অবস্থায়।
এরপর দুপুরে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও শাই হোপ হ্যাজেলউডের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলে ম্যাচ কার্যত শেষ হয়ে যায়।
অধিনায়ক চেজ বলেন, “নতুন বলে আমরা কোনো বড় জুটি গড়তে পারিনি। শুরু থেকেই পিছিয়ে পড়েছিলাম।”
অপ্রত্যাশিতভাবে ব্যর্থ হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শততম টেস্ট খেলোয়াড় ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। প্রথম ইনিংসে শূন্য এবং দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৭ রানে আউট হন তিনি।
আগামী শনিবার কিংস্টনে শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট, যা হবে ডে-নাইট ম্যাচ। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার সামনে সুযোগ থাকবে হোয়াইটওয়াশ নিশ্চিত করার।
দ্বিতীয় টেস্ট, চতুর্থ দিন ফলাফল:
অস্ট্রেলিয়া: ২৮৬ ও ২৪৩ (৭১.৩ ওভারে), স্মিথ ৭১, শামার ৪/৬৬
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৫৩ ও ১৪৩ (৩৪.৩ ওভারে), চেজ ৩৪, স্টার্ক ৩/২৪
ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ১৩৩ রানে জয়ী