ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে চলমান ২৪তম তীর এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে নিরাপত্তা ব্যবস্থার শিথিলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, ২৯ দেশের ৩০০ জনের বেশি অংশগ্রহণকারী প্রতিদিন মাঠে পৌঁছালেও স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় রিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্রাক ও পথচারীর অবাধ চলাচল চলছে এবং অ্যাথলেটদের ব্যবহৃত গেটের কাছেও নিয়ন্ত্রিত প্রবেশ ব্যবস্থা দৃশ্যমান নয়।
বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক দলগুলোকে সঠিক বাসে উঠতে সহায়তা করছেন, তবে তাদের দায়িত্ব নিরাপত্তা নয়। এক কর্মকর্তা ডেইলি সানকে বলেন, এটি বিলাসিতা নয়, দায়বদ্ধতার বিষয়; আন্তর্জাতিক অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ত্রুটি হলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
২০১৭ সালে ঢাকায় শেষবার এশিয়ান আর্চারি হওয়ার সময় ভেন্যুর বাইরে রিকশার সঙ্গে হালকা ধাক্কায় জাপানের দুই আরচার আহত হওয়ার ঘটনার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন সংশ্লিষ্টরা। এ বছর জাপান অংশ নেয়নি, যা আয়োজকদের মধ্যে নীরব উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ আলো বলেন, টুর্নামেন্ট শুরুর এক সপ্তাহ আগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এনএসসি-কে লিখিতভাবে সব নিরাপত্তা চাহিদা পাঠানো হয়েছিল। তার ভাষায়, ভেন্যু এনএসসির হওয়ায় তারা ব্যবস্থা না নিলে ফেডারেশনের পক্ষে পদক্ষেপ সীমিত।
স্টেডিয়ামের ভেতরে প্রতিদিন ৮০ থেকে ১০০ জনের মতো পুলিশ সদস্য থাকলেও তাদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব বণ্টন পরিষ্কার নয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। তার দাবি, খেলোয়াড়দের চলাচল নিয়ন্ত্রণ বা বাইরে ট্রাফিক সহায়তা চাইলেও অনেক সময় সাড়া মেলে না।
স্টেডিয়াম এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বলয়ের অনুপস্থিতি নিয়ে সমালোচনার পরও এনএসসি কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেয়নি। কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, ইভেন্ট নির্বিঘ্ন করতে প্রবেশপথে স্ক্রিনিং, দলীয় বাসের জন্য আলাদা করিডোর, এবং গেটের বাইরে ট্রাফিক শৃঙ্খলা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়েছে।
এদিকে প্রতিদিনের সূচি অনুযায়ী বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা আরচাররা নির্ধারিত সময়ে মাঠে প্রবেশ করছেন। আয়োজকেরা বলছেন, প্রতিযোগিতা মসৃণভাবে চললেও নিরাপত্তা ঘাটতি থাকলে সামগ্রিক আয়োজনের মান প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে দ্রুত দৃশ্যমান ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
