অ্যাশেজে সাফল্যের বড় পূর্বাভাস সাধারণত পেস বোলিংয়ের মান হলেও এবার ফয়সালা হতে পারে স্কোয়াডের গভীরতা ও স্থিতিস্থাপকতায়। পার্থে শুক্রবার শুরু হওয়া প্রথম টেস্টের আগেই অস্ট্রেলিয়া বড় ধাক্কা খেয়েছে।
অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও সহকারী পেসার জশ হ্যাজলউড ইনজুরিতে বাইরে। তাঁদের অনুপস্থিতিতে স্কট বোল্যান্ড এগিয়ে আসছেন এবং অনভিষিক্ত ব্রেনডন ডগেটকে উচ্চচাপের মঞ্চে নামানোর জোর সম্ভাবনা আছে। কামিন্স ও হ্যাজলউডের সম্মিলিত ৬০৪ টেস্ট উইকেটের অভিজ্ঞতা হারিয়ে স্বাগতিকদের পেস আক্রমণ যে ভঙ্গুর দেখাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কতদিন কামিন্স ও হ্যাজলউড বাইরে থাকবেন তা পরিষ্কার নয়। তবে ভালো শুরুর খোঁজে থাকা ইংল্যান্ডের জন্য এটি বড় সুযোগ। পার্থে ১ ০তে এগিয়ে যেতে পারলে ২০১৭ ১৮ সালের পর প্রথমবার আর্ন জয়ের লক্ষ্যপানে তাদের যাত্রা অনেকটাই সহজ হতে পারে। পরিসংখ্যান বলে, ইংল্যান্ড ১৯৮৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজের প্রথম টেস্ট জেতেনি এবং প্রথম টেস্ট হারিয়ে অ্যাওয়ে অ্যাশেজ জিতেছে সর্বশেষ ১৯৫৪ ৫৫ মৌসুমে।
তবে অস্ট্রেলিয়ার ইনজুরি উদ্বেগে উৎসাহ পেলেও ইংল্যান্ডকে ভাবতে হচ্ছে নিজেদের বোলিং ইউনিটের সহনশীলতা নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার শক্ত উইকেটে তপ্ত আবহাওয়ায় দীর্ঘ স্পেলে বল করা শারীরিকভাবে কঠিন। ফিটনেসে সেরা পেসারদের জন্যও এটি বড় পরীক্ষা, ইনজুরির ইতিহাস থাকা বোলারদের জন্য তো আরও বেশি।
অস্ট্রেলিয়া সেট পেসারদের বঞ্চিত হলেও বোল্যান্ডের অভিজ্ঞতা এবং ডগেটের নতুনত্ব দিয়ে ঘাটতি পোষানোর চেষ্টা করবে। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য শুরুতেই সুবিধা নেওয়া, তবে সে জন্য প্রয়োজন নিয়ন্ত্রিত আক্রমণ, সেশন ধরে ধরে শৃঙ্খল বোলিং এবং তাপপ্রবাহে শরীরচর্চার পরিকল্পনা মেনে চলা। সিরিজের প্রথম ধাক্কাই শেষ পর্যন্ত আর্নের লড়াইয়ের সুর বেঁধে দিতে পারে।
