বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সংঘটিত জোরপূর্বক গুমের সঙ্গে কোনো সেনাসদস্যের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান সামরিক অভিযান পরিদপ্তরের (স্টাফ কর্নেল) কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “যেসব সেনাসদস্য বাহিনীর কার্যপরিধির বাইরে নিয়োজিত ছিলেন, তাদের ওপর সেনাবাহিনীর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তবে তাদের কেউ গুমের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকলে, প্রমাণ পাওয়া গেলে সেনাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নেবে।”
গুমের শিকার পরিবারের সদস্যরা চাইলে সেনাবাহিনী তাদের নিরাপত্তা সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখনো সেনাবাহিনীকে নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োগের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলেও জানান কর্নেল শফিকুল। তবে কমিশনের অনুরোধ পেলেই সেনাবাহিনী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৫ আগস্টে পুলিশের বিভিন্ন স্টেশন থেকে লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের ৮০ শতাংশ ইতোমধ্যে উদ্ধার হয়েছে বলেও জানান তিনি। অবশিষ্ট অস্ত্রগুলোও আগামী নির্বাচনের আগেই উদ্ধার সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কর্নেল শফিকুল ইসলাম।