‘হরর’ ঘরানার ভিন্নধর্মী নির্মাতা হিসেবে পরিচিত অ্যারি অ্যাস্টার এবার কোভিড-১৯ মহামারিকে ঘিরে নির্মাণ করেছেন নতুন চলচ্চিত্র ‘এডিংটন’।
ছবিটির কাহিনি এগিয়েছে নিউ মেক্সিকোর একটি ছোট শহরকে কেন্দ্র করে, যেখানে ২০২০ সালের মে মাসে লকডাউনের মধ্যে এক স্থানীয় শেরিফ (জোকুইন ফিনিক্স) ও মেয়র (পেদ্রো পাসকেল) রাজনৈতিক ও সামাজিক বিরোধে জড়িয়ে পড়েন।
লস অ্যাঞ্জেলেস প্রিমিয়ারে অ্যাস্টার জানান, “এই সময়টা ছিল ভয়াবহ ও পরিবর্তন এনে দেওয়া এক পর্ব। আমি ভয়ঙ্কর বিষয় নিয়ে সিনেমা বানাতে পছন্দ করি, তাই এটি ছিল পরবর্তী পদক্ষেপ।” তিনি আরও বলেন, “এটা কোনো নস্টালজিয়া নয়। আমরা এখনো লকডাউনের প্রভাব কাটিয়ে উঠিনি। প্রতিদিনের খবরেই সিনেমার বাস্তবতা প্রতিফলিত হচ্ছে।”
‘এডিংটন’ সিনেমায় সহ-অভিনয় করেছেন এমা স্টোন, অস্টিন বাটলার ও লুক গ্রিমস। সিনেমাটি আমেরিকার ইতিহাস, জাতিগত বৈষম্য, রাজনৈতিক সংঘাত, প্রতিবাদ ও তথ্য বিভ্রান্তির মতো সমসাময়িক ইস্যুকে ধারণ করে নির্মিত হয়েছে।
অ্যাস্টার জানান, “ওয়েস্টার্ন ঘরানাটা জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক। এটি নতুন সমাজ গঠন, সীমানা নির্ধারণ, আইন ও নৈরাজ্যের দ্বন্দ্বের প্রতিচ্ছবি। আর এখন আমরা এমন এক সময়ে দাঁড়িয়ে যেখানে সমাজের গাঠনিক কাঠামো ভেঙে পড়ছে। প্রযুক্তি, সরকারসহ সব কিছু বদলে যাচ্ছে। ফলে, এ ধরনের ঘরানায় সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে সিনেমা তৈরি করা সময়োচিত।”
তিনি আরও বলেন, “ছবির চরিত্রগুলো যেন ওয়েস্টার্নের প্রতীকে পরিণত হয়েছে, কিন্তু তারা একসঙ্গে বসবাস করছে ইন্টারনেটভিত্তিক বাস্তবতায়। তারা আলাদা বাস্তবতায় বাস করছে, যা মানুষের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়ে তুলছে।”
‘বিউ ইজ অ্যাফ্রেইড’ সিনেমার পর অ্যাস্টার ও ফিনিক্সের এটি দ্বিতীয় যৌথ কাজ। পেদ্রো পাসকেলের সঙ্গে কেমিস্ট্রি নিয়েও নির্মাতা প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “তাদের দুজনের মধ্যে দুর্দান্ত মিল। একজনকে নিলে আরেকজনকেও নেওয়া সহজ সিদ্ধান্ত ছিল।”
চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবে ১৮ জুলাই।