ঢাকার গুলশান এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শামী আহমেদের বাড়িতে টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (জিএসএস) বহিষ্কৃত যুগ্ম সমন্বয়কারী জে আলম অপুকে রবিবার ঢাকার একটি আদালত চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার এই আদেশ দেন। পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল।
পুলিশ গত শুক্রবার রাজধানীর ওয়ারী এলাকা থেকে অপুকে গ্রেফতার করে। গত ২৬ জুলাই তাকে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কারের কারণ ছিল তার বিরুদ্ধে ওঠা চাঁদাবাজির অভিযোগ।
গত ২৭ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত প্রধান ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াদুর রহমান একই মামলায় চার আসামির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ২৪ বছর বয়সী ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, ২৩ বছর বয়সী আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, ২২ বছর বয়সী সাদাকাউন সিয়াম এবং ২১ বছর বয়সী সাদমান সাদাব। এক ১৬ বছর বয়সী কিশোরকেও গ্রেফতার করে গাজীপুরের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
মামলা করেন শামী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর। তিনি গুলশান থানায় মামলা করেছেন। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৭ জুলাই সকালে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ এবং কাজী গৌরব অপু গুলশানস্থ তাদের বাড়িতে পৌঁছে ৫০ লাখ টাকা দাবী করেন।
প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা পুলিশি চাপে তাকে আটক করানোর হুমকি দেন। পরে তিনি ১০ লাখ টাকা দেন। অভিযোগ করা হয়েছে, তারা আবারও গুলশান বাড়িতে এসে দরজায় দফতর দেন, তবে পুলিশ খবর পেয়ে পালিয়ে যায়।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, নিরাপত্তা প্রহরী বিষয়টি জানালে তারা আবারও ফিরে এসে বাকী ৪০ লাখ টাকা চেয়ে হুমকি দেয়। পরে পাঁচ আসামিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে।
মামলায় মোট ৬ জন এডিএসএমের (অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন স্টুডেন্ট মোভমেন্ট) সদস্য এবং আনুমানিক ১০-১২ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত চলছে।