ঢাকা, ৩০ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট ও ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক চিত্র নিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বক্তব্যে উঠে এলো জাতীয় ঐক্য ও দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের তাগিদ। চট্টগ্রামে এক আলোচনাসভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের সমস্যার কথা বিদেশে নয়, দেশের ভেতরেই বলতে হবে, এবং সেখান থেকেই সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে নগরীর মুরাদপুর এলজিইডি মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বক্তব্যে আমির খসরু বলেন, “আমরা অপেক্ষায় আছি একটি নির্বাচনের। যতদিন পর্যন্ত একটি জনগণের নির্বাচিত সরকার না আসবে, ততদিন দেশের কোনো মৌলিক সংকটের সমাধান হবে না।” তিনি আরও বলেন, “এটা কোন দল চায় বা চায় না, সেটা মুখ্য নয়। বাংলাদেশের মানুষ চায় গণতন্ত্র ফিরে আসুক।”
তিনি মনে করেন, দিন শেষে সংস্কার, বিচারসহ সব সমস্যার একমাত্র সমাধান দেশের জনগণই দিতে পারে। “সমাধান দেওয়ার দ্বিতীয় কোনো অস্ত্র নেই। একটি মাত্র অস্ত্রই আছে—এদেশের মানুষ,” বলেন তিনি।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “নিজেদের মধ্যে থাকা ছোটখাটো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে যেতে হবে। দেশকে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আদর্শে গড়তে হলে আমাদের গতি ধরে রাখতে হবে। স্পিড চলে গেলে চলবে না।”
আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ এবং অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান। প্রধান আলোচক ছিলেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এসএম আবদুল আউয়াল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।
আরও পড়ুন:
এদিকে, জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার সকালে রাঙ্গুনিয়ার শহীদ রাষ্ট্রপতির প্রথম মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দক্ষিণ জেলা বিএনপি। আয়োজনে ছিল খতমে কুরআন ও বিশেষ দোয়া মাহফিল।
অনুষ্ঠানে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া, সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিনসহ জেলার ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আওতাধীন প্রতিটি উপজেলা ও পৌরসভা থেকে বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, জিয়াউর রহমানের আদর্শকে ধারণ করেই জাতীয় সংকট মোকাবিলা করতে হবে। তারা মনে করেন, দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত উন্নয়নের জন্য একটি জনগণের সরকার ছাড়া বিকল্প নেই।
চট্টগ্রামের এই আয়োজন ও বক্তব্যগুলো নতুন করে বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থানকে সামনে এনে দিয়েছে। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একধরনের পরিবর্তনের আভাসও এতে পরোক্ষভাবে উঠে এসেছে।
