আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালত অবমাননার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বক্তব্য শুনতে অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ করেছে। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
বেলা ১১টার দিকে ট্রাইব্যুনাল বসলে প্রসিকিউশন আদালত অবমাননার মামলার সর্বশেষ অগ্রগতি তুলে ধরে। তখন ট্রাইব্যুনাল জানতে চায় অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগের বিষয়ে।
প্রসিকিউটর গাজী এম এস তামিম আদালতকে জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ৪১ ধারা অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল ১ বা একাধিক অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ করতে পারেন।
এরপর আদালত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা দেন। আগামী ২৫ জুন তার বক্তব্য শুনবে ট্রাইব্যুনাল।
উল্লেখ্য, একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে যাতে বলা হয়, “২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।” ফরেনসিক বিশ্লেষণে এটি শেখ হাসিনার কণ্ঠ বলে নিশ্চিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
এই প্রেক্ষাপটে গত ৩০ এপ্রিল দুই আসামিকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। ২৫ মে নির্ধারিত তারিখে তারা হাজির হননি এবং কোনো আইনজীবীর মাধ্যমেও ব্যাখ্যা দেননি।
পরবর্তীতে ট্রাইব্যুনাল সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয় যাতে আসামিদের ৩ জুন হাজির হতে বলা হয়। এই বিজ্ঞপ্তি পরদিন দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়।
মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে এবং অ্যামিকাস কিউরির বক্তব্যের পরবর্তী শুনানি হবে নির্ধারিত তারিখে।