খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি মাঝামাঝি জাতীয় নির্বাচনের আগেই চলতি আমন মৌসুমের সরকারি ধান-চাল সংগ্রহের বড় অংশ সম্পন্ন করতে চায় সরকার।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আমন সংগ্রহ অভিযানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। কিন্তু মিড-ফেব্রুয়ারি থেকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের খাদ্য কর্মকর্তারা নির্বাচনী দায়িত্বে ব্যাপকভাবে যুক্ত হয়ে পড়বেন।
“এটি মাথায় রেখে সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—মিড-ফেব্রুয়ারির আগেই সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে। কোনো ধরনের শৈথিল্য গ্রহণযোগ্য হবে না,” তিনি যোগ করেন।
উপদেষ্টা বলেন, “পরবর্তী সরকারের হাতে আরামদায়ক ও পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত হস্তান্তর করাই লক্ষ্য। নির্বাচনের আগেই প্রায় পুরো লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেষ্টা করা হবে। আমরা এতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এ মৌসুমের সংগ্রহ মূল্য
- ধান: ৩৪ টাকা/কেজি
- সিদ্ধ চাল: ৫০ টাকা/কেজি
- আতপ চাল: ৪৯ টাকা/কেজি
মিলারদের সঙ্গে চুক্তি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিক সংগ্রহ শুরু হয়েছে।
ন্যূনতম লক্ষ্যমাত্রা
- ধান: ৫০,০০০ টন
- সিদ্ধ চাল: ৬,০০,০০০ টন
- আতপ চাল: ৫০,০০০ টন
মজুমদার বলেন, এগুলো ন্যূনতম লক্ষ্য। “যত বেশি সংগ্রহ করতে পারব, আমদানিনির্ভরতা তত কমবে।” তিনি জানান, গত বোরো মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ সংগ্রহ হয়েছিল।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সম্প্রসারণ
- উপকারভোগী বেড়েছে ৫ লাখ, এখন মোট ৫৫ লাখ পরিবার
- প্রতি পরিবার মাসে ৩০ কেজি চাল ১৫ টাকা কেজিতে
- সময়কাল ৫ মাস থেকে বাড়িয়ে ৬ মাস করা হয়েছে
“এসব পদক্ষেপ দীর্ঘমেয়াদে বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক হবে,” উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন।
