সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্লুমিনেন্সের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নিলেও বিশ্বমঞ্চে রেখে গেল সাহসিকতার পরিচয়।
প্রথমবারের মতো ৩২ দলের ফরম্যাটে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে আল হিলাল তাদের যাত্রা শুরু করে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ড্র দিয়ে। এরপর গ্রুপ পর্বে তারা মেক্সিকোর পাচুকাকে ২-০ গোলে হারিয়ে এবং সালজবুর্গের সঙ্গে ড্র করে পৌঁছে যায় শেষ ষোলোতে।
সেখানে ঘটে বড় চমক। বর্তমান ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয় আল হিলাল। যদিও সেমিফাইনালের এক ধাপ আগেই থেমে যেতে হয় তাদের।
সৌদি ক্লাবটির এই অসাধারণ যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় ক্যালিদু কুলিবালি। সাবেক চেলসি ডিফেন্ডার বলেন, “সবাই ভাবে, আমরা শুধু টাকার জন্য সৌদি লিগে যাই। কিন্তু এই বিশ্বকাপে আমরা প্রমাণ করেছি, সেখানে প্রতিভা আছে, মান আছে এবং উন্নয়ন হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি যখন প্রথম যোগ দিয়েছিলাম তখন থেকেই দেখছি লিগ কতটা কঠিন। দুই বছরে অনেক উন্নতি হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও হবে।”
আল হিলালের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে এই টুর্নামেন্টে আসেন সিমোনে ইনজাগি। তিনি বলেন, “এই বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া আমার এবং স্টাফদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এতে আমরা বুঝতে পেরেছি আমাদের দলে কী ধরনের প্রতিভা আছে এবং তারা প্রতিদিন কতটা পরিশ্রম করে।”
তিনি আরও জানান, “এই অভিজ্ঞতা আমাদের পরবর্তী মৌসুমে ভালো কিছু করার জন্য প্রস্তুত করছে।”
সৌদি প্রো লিগ নিয়ে বিশ্বজুড়ে নানা বিতর্ক থাকলেও এই টুর্নামেন্টে আল হিলালের পারফরম্যান্স সেই ধারনা বদলেছে। তারা প্রমাণ করেছে, শুধু তারকা নয়, সাহসিকতা, পরিকল্পনা এবং মানসিকতা দিয়েই গড়ে উঠছে নতুন এক শক্তিশালী ফুটবল সংস্কৃতি।
বিশ্ব ফুটবলের মানচিত্রে সৌদি লিগ যে এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করছে, সেটাই বারবার উঠে আসছে কুলিবালি ও ইনজাগির মন্তব্যে। ক্লাব বিশ্বকাপে দারুণ পারফরম্যান্স সেই উন্নয়নের বড় প্রমাণ।