ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ২৯ জনের মৃত্যু ও বহু মানুষের আহত হওয়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে বিমান বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর জামুনা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে এই বৈঠকটি হয় বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান এবং প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। দেশের সাম্প্রতিক এই হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা এবং তার পরবর্তী করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা জানান প্রধান উপদেষ্টা। একইসঙ্গে তিনি দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, “এই ধরনের ঘটনা যেন ভবিষ্যতে না ঘটে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।”
বৈঠকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, তদন্ত কার্যক্রম, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়।
বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করেছি এবং খুব শিগগিরই প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করা হবে।”
এই দুর্ঘটনার ফলে দেশের প্রতিরক্ষা ও নাগরিক নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই দাবি করছেন, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ ও উড্ডয়ন কার্যক্রম পরিচালনায় অধিক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
এদিকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে শোক প্রকাশ ছাড়াও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, বিমান দুর্ঘটনার বিস্তারিত কারণ ও দায়-দায়িত্ব নিরূপণে স্বচ্ছ তদন্ত হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ সেই অনুসারেই নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে যা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে তা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। ঘটনাটি দেশজুড়ে চরম উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।