ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৫, ০৫:০৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘ আলোচনার পর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর সঙ্গে সরকারের সমঝোতা হয়েছে। সংস্থাটির দুটি মূল শর্ত আংশিকভাবে বাস্তবায়নে সম্মতি দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে অন্যতম হলো ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার আরও নমনীয় করা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) কাঠামোগত সংস্কার।
সরকারি ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, এসব পদক্ষেপের ফলে আগামী জুন মাসের মধ্যেই ঋণের দুটি কিস্তি বাবদ ১৩০ কোটি ডলার ছাড় করতে যাচ্ছে আইএমএফ। এর আগে তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ পেয়েছিল ১৩১ কোটি ডলার।
বর্তমানে ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে মধ্য দর ১১৯ টাকা নির্ধারিত আছে, যেখানে ±২.৫ শতাংশ ওঠানামার সুযোগ রয়েছে। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী এই সীমা বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করা হবে, যার ফলে সর্বোচ্চ বিনিময় হার দাঁড়াতে পারে ১২৩ টাকা ৭৬ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ১১৪ টাকা ২৪ পয়সা। যদিও বাস্তবিক অর্থে ডলারের দাম কমার নজির নেই।
সরকার ইতোমধ্যে এনবিআরকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে:
- রেভিনিউ পলিসি ডিভিশন (কর নীতিমালা প্রণয়ন করবে)
- রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন (কর আদায় ও প্রশাসনের দায়িত্বে থাকবে)
এই কাঠামোর মাধ্যমে স্বার্থের সংঘাত কমানো ও কর আদায়ে দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, “এই ঋণ শুধুমাত্র বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির জন্য নয়, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার একটি কৌশল।” আইএমএফ যেহেতু অর্থনীতির ঝুঁকি বিবেচনা করেই ঋণ দেয়, তাই তাদের অনুমোদন পেলে বৈদেশিক বিনিয়োগের সম্ভাবনা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে আজ (১৪ মে) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে পারেন। একই সময় বিদেশে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়েও আলোচনা হতে পারে।