অ্যাগা খান একাডেমি, ঢাকা স্টাডি অস্ট্রেলিয়া উদ্যোক্তা চ্যালেঞ্জ ২০২৫ (Study Australia Entrepreneurship Challenge) বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী হয়েছে। বিজয়ী দলের নাম ঘোষণা করা হয় ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘ফেস্টিভ্যাল অব অস্ট্রেলিয়া’ অনুষ্ঠানে।
এই উৎসবের আয়োজন করে অস্ট্রেলিয়ান ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশন (Austrade)। এটি ছিল বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বমানের শিক্ষা, খাদ্য এবং পানীয় পণ্য নিয়ে আয়োজিত একটি বর্ণিল প্রদর্শনী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এবং খাদ্যপ্রেমীরা। অংশগ্রহণকারীরা সরাসরি অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে জানার সুযোগ পান।
একইসাথে আয়োজন করা হয় স্টাডি অস্ট্রেলিয়া চ্যালেঞ্জের চূড়ান্ত পর্ব। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে পাঁচটি ফাইনালিস্ট দল তাদের উদ্ভাবনী ধারণা তুলে ধরে বিচারকদের সামনে।
চ্যালেঞ্জটি ছিল তিন সপ্তাহের একটি হাইব্রিড প্রোগ্রাম। এতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব, উদ্ভাবন ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পায়।
ছাত্রছাত্রীরা Green Tech & Sustainable Solutions, Human-Centered AI এবং Digital Transformation for Social Good–এই তিনটি বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে দলগতভাবে কাজ করে এবং ব্যবসায়িক সমাধান উপস্থাপন করে।
অস্ট্রেলিয়ান একাডেমিক ও শিল্প নেতাদের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যত-কেন্দ্রিক ভাবনায় বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা তৈরি করে। এতে তাদের মধ্যে নেতৃত্বগুণ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা আরও গভীরভাবে গড়ে ওঠে।
ফেস্টিভ্যাল অব অস্ট্রেলিয়া-তে অস্ট্রেলিয়ান খাদ্যপণ্যের প্রদর্শনীও ছিল। স্থানীয় আমদানিকারক ও পরিবেশকদের সহযোগিতায় এই আয়োজন করা হয়। অস্ট্রেলিয়ান উপাদান দিয়ে তৈরি খাবারের প্রদর্শনীতে উঠে আসে দেশটির রান্নার বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্য।
অস্ট্রেলিয়ান ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশনের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কমিশনার বিক সিং বলেন, “ঢাকায় ফেস্টিভ্যাল অব অস্ট্রেলিয়া আয়োজন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই উৎসব অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা ও খাদ্য ক্ষেত্রে উৎকর্ষ তুলে ধরছে। একদিকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে, অন্যদিকে পরিবারের সদস্য ও খাদ্যপ্রেমীদের জন্য অস্ট্রেলিয়ান পণ্যের স্বাদ গ্রহণের সুযোগ তৈরি করছে।”
তিনি আরও জানান, “আমরা চাই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও ভোক্তারা যেন অস্ট্রেলিয়ার উদ্ভাবন ও গুণগত মানকে কাছ থেকে জানার সুযোগ পান।”
এই উৎসব অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যকার সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন এবং শিক্ষা ও ব্যবসায়িক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।