Friday, August 1, 2025
Homeখেলাধুলাবক্সার আফরার লড়াই শুধু রিংয়ে নয়, পরিবারের সঙ্গে এক যৌথ যাত্রা

বক্সার আফরার লড়াই শুধু রিংয়ে নয়, পরিবারের সঙ্গে এক যৌথ যাত্রা

ন্যাশনাল বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়া আফরার সাফল্যের পেছনে পরিবারের ত্যাগ ও সমর্থন

নারী ন্যাশনাল বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ৫২ কেজি বিভাগের ফাইনালে বৃহস্পতিবার নাম ঘোষণার সময় রিংয়ের এক কোণে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলেন আফরা খন্দকার। প্রতিপক্ষ ছিলেন শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী জিন্নাত ফেরদৌস। তবে আফরার সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল রিংয়ের বাইরে—তার পরিবার।

আফরার বক্সিং যাত্রা শুরু হয়েছিল ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে নয়, বরং পরিবারের প্রতি ভালোবাসা থেকে। ছোট বোন আফেইদা খন্দকারকে একা না রাখার ইচ্ছা থেকেই ২০১৬ সালে তিনি ভর্তি হন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)-তে। এর আগে তিনি ফুটবলের মাধ্যমে ভর্তি হতে চেয়েছিলেন, এমনকি ক্রিকেট ও শুটিংয়েও চেষ্টা করেছিলেন।

তার বাবা খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স দুই বোনের স্বপ্নপূরণের নেপথ্যে সবচেয়ে বড় শক্তি। তিনি শুধু পরামর্শদাতা নন, কোচ ও প্রেরণার উৎসও। বাড়িতে বা মাঠে, দু’জায়গাতেই তিনি সমানভাবে সক্রিয়। ছুটির দিনেও ভোর ছয়টায় দুই বোনকে অনুশীলনে টেনে নিয়ে যান।

চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগের দিন স্থগিত হওয়া ম্যাচের জন্য বাবা সকাল থেকেই ভেন্যুতে উপস্থিত ছিলেন। মেয়ের ম্যাচের আগে ও চলাকালে গ্যালারি থেকে নিয়মিত নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। ছোট বোন আফেইদা, যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক, ম্যাচের পুরোটা সময় উদ্বিগ্ন ও আবেগপ্রবণ ছিলেন।

আফরা বলেন, “আগে আমি সবাইকে আফেইদার বড় বোন হিসেবে পরিচিত ছিলাম। এখন নিজের নামে পরিচিতি পেয়ে ভালো লাগছে। মানুষ জানছে, আফরা নামে একজন বক্সার আছে।”

তার স্বপ্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় লড়াই করা। আগামী বছর পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় এসএ গেমসে ভালো করার লক্ষ্য রয়েছে তার।

স্বর্ণ না পেলেও আফরার আসল সাফল্য আরও গভীর। রিংয়ে নিজের অবস্থান ধরে রাখা, বাবার উৎসাহ, বোনের চোখে গর্ব—সবই তার প্রকৃত জয়। আফরার কাছে বক্সিং শুধু ব্যক্তিগত খেলা নয়, এটি পুরো পরিবারের একটি যৌথ যাত্রা।

RELATED NEWS

Latest News