উত্তর আফগানিস্তানে গভীর রাতে আঘাত হানা ৬.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ২০ জনের বেশি নিহত এবং প্রায় ৩২০ জন আহত হয়েছে বলে সোমবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শরাফাত জামান এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “বালখ ও সামানগান প্রদেশে প্রায় ৩২০ জন আহত এবং ২০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন।” তিনি জানান, এটি একটি প্রাথমিক হিসাব।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (USGS) জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে, ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ২৮ কিলোমিটার (১৭ মাইল) গভীরে।
বালখ প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র কামাল খান জাদরান জানান, এ প্রদেশেই চারজন নিহত হয়েছেন। মাজার-ই-শরিফ শহরের মানুষজন আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে, আশঙ্কা করে তাদের ঘর ধসে পড়বে। রাজধানী কাবুলেও কম্পন অনুভূত হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
পাহাড়ি অঞ্চলে দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামোর কারণে দেশটির দুর্গত এলাকাগুলোতে উদ্ধার কার্যক্রমে দেরি হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানান।
২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর এটি চতুর্থ বড় ভূমিকম্প। এর আগে ২০২2 ও 2023 সালে পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে শত শত মানুষ নিহত হয়েছিল। গত আগস্টে পূর্ব আফগানিস্তানে ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্পে ২,২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।
দীর্ঘ যুদ্ধ, খরা, আর্থিক নিষেধাজ্ঞা, এবং ইরান ও পাকিস্তান থেকে ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের কারণে দেশটি ইতিমধ্যেই এক তীব্র মানবিক সংকটের মুখে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফগানিস্তান ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল, কারণ এটি ইউরেশীয় ও ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। অধিকাংশ বাড়িঘর দুর্বল কাঠামোর হওয়ায় সামান্য কম্পনেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটে।
