রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জানিয়েছে, নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তারা চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ নিয়ে তদন্ত করতে কোনো আপত্তি দেখছে না।
সোমবার রাজধানীর দুদক প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুদকের পরিচালক (방প্রতিরোধ) মো. আখতার হোসেন বলেন, “চাঁদাবাজি দুদকের এখতিয়ার নয়। তবে কেউ যদি জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জন করে, সেটি আমাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তদন্তে আমাদের কোনো বাধা নেই।”
সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসা থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদের মধ্যে ঢাকা মহানগর শাখার ছাত্র অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন, সদস্য সাকদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদ রয়েছেন। রিয়াদ বর্তমানে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে রোববার সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। অপরজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে টঙ্গীর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, পৃথক আরেক মামলায় দুদক ঢাকা-১৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. এলিয়াস উদ্দিন মোল্লা ও আরও তিনজনের বিরুদ্ধে সরকারী জমি দখল এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে।
বাকি তিনজন হলেন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ঢাকা ডিভিশন-১ এর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম, একই প্রতিষ্ঠানের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও বর্তমান সদস্য (প্রকৌশল ও সমন্বয় বিভাগ) কাজী মো. আবু হানিফ, এবং ঢাকা সার্কেলের সাবেক উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হারিজুর রহমান।
দুদকের ভাষ্যমতে, সরকারি জমি দখল করে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার অভিযোগে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে এবং এর তদন্ত প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হবে।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ যেখানেই উঠবে, সেখানেই তদন্তের আওতায় আনা হবে।