ঢাকার একটি আদালত জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাতকে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে আবুল বারকাতকে আদালতে হাজির করে তাকে কারাগারে রাখার আবেদন জানান। অন্যদিকে, আসামিপক্ষ জামিনের আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষ তা বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, মামলায় তিন দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে, তবে বর্তমান আদালতে রিমান্ড শুনানির এখতিয়ার না থাকায় আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রিমান্ড শুনানি পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার ধানমন্ডির সড়ক নম্বর ৩ থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আবুল বারকাত ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানসহ অন্যরা আঁতাত করে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে অনানটেক্স গ্রুপকে ঋণ প্রদান করেন এবং এর মাধ্যমে সরকারি অর্থে বড় ধরনের ক্ষতি সাধিত হয়।
দুদক বলছে, প্রতারণামূলক ও অনৈতিক উপায়ে এই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে, যা সরকারি অর্থনীতিতে গুরুতর প্রভাব ফেলেছে।
অধ্যাপক বারকাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।