প্রবাসী জুলাই আন্দোলনের নেতা আব্দুল হামিদ কে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চট্টগ্রামের পরিবারের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তাঁর মৃত্যু হয়েছে ১৮ দিন আগে, এবং শুক্রবার সকালেই তাঁর দেহ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে পৌঁছায়।
বিমানবন্দরে তাঁর স্বজনরা আবেগে আপ্লুত হয়ে কাঁদতে দেখা যায়। পরে সরকারি কর্মকর্তাদের এবং ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহ পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়।
গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাপকভাবে জুলাই আন্দোলনের বিপ্লবী কার্যক্রমের সমর্থনে রাস্তায় নামেন। ডুবাই পুলিশ ৫৭ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে, যাদের পরবর্তীতে সিনিয়র উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস এর হস্তক্ষেপে মুক্তি দেওয়া হয়।
মুক্তির পর আবদুল হামিদ পুনরায় কর্মসংস্থানের জন্য ডুবাই ফিরেন। সেখানে অভিবাসন পুলিশের পূর্বের অভিযোগে তাঁকে আবার গ্রেফতার করা হয়। তিনি ২২ সেপ্টেম্বর কারাবন্দিতে মৃত্যু বরণ করেন এবং ১৮ দিন পর দেহ বাংলাদেশে পৌঁছায়।
শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে তাঁর দেহ নোয়াপাড়া ইউনিয়নের রাউজান গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার জামাতের পর পরিবারের মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, এরপর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় নেতারা জানালেন, সরকার প্রাথমিকভাবে পরিবারের জন্য ৩৫,০০০ টাকা সাহায্য প্রদান করবে। পরে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অতিরিক্ত ৩,০০,০০০ টাকা বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়েছে।
ফানারেলে উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিসান বিন মাজেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আঞ্চিং মারমা, রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, নোয়াপাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হাবিব মাস্টার, জুলাই বিপ্লবী জোট এবং জুলাই আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, ডুবাই থেকে ফিরে আসা প্রবাসী জুলাই কর্মীরা এবং স্থানীয় বহু মানুষ।
উপজেলা প্রশাসন পরিবারকে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ও অতিরিক্ত অনুদানের ঘোষণা করেছে।
