Sunday, June 22, 2025
Homeরাজনীতিনিষিদ্ধ ঘোষণার পর পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ কার্যালয়

নিষিদ্ধ ঘোষণার পর পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ কার্যালয়

ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৫, ১৯:২০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। সেই দিন থেকে অধিকাংশ জেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গা-ঢাকা দেন, কেউ কেউ দেশ ছেড়েও চলে যান। সরকারের পতনের পর দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে বিভিন্ন জেলায় তাদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বা দখলের ঘটনা ঘটে।

দেশজুড়ে অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের সাবেক দলীয় কার্যালয় এখন আর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র নয়; রূপ নিয়েছে কখনো ফলের দোকানে, কখনো সাধারণ মানুষের শৌচাগারে, আবার কোথাও মাদকসেবীদের আড্ডাখানায়।

নারায়ণগঞ্জে রেলওয়ের জায়গায় স্থাপিত আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি এখন পরিত্যক্ত। সেখানে পথশিশু ও ভাসমান মানুষের আশ্রয় মিলছে। সামনের খালি জায়গাটি পরিণত হয়েছে ফলের বাজারে। কেরানীগঞ্জ, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, খুলনা ও কক্সবাজারেও একই চিত্র দেখা গেছে।

চট্টগ্রামের দারুল ফজল মার্কেটের কার্যালয় ও উত্তর-দক্ষিণ জেলার কার্যালয়গুলো এখন তালাবদ্ধ, ভেতরে পড়ে আছে ভাঙা চেয়ার-টেবিল। খুলনা, বরিশাল, কুমিল্লা, ভোলা, মেহেরপুর, যশোর, ঝিনাইদহ, নোয়াখালী ও নওগাঁসহ অধিকাংশ জেলায় দলীয় কার্যালয়গুলো এখন পরিত্যক্ত, পোড়া ভবন বা মাদকসেবনের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কুমিল্লায় আটতলা বিশিষ্ট একটি কার্যালয়, যেখানে ছিল কনফারেন্স হল থেকে ক্যাফেটেরিয়া—এখন সেখানে নেই কোনো জানালা, নেই আসবাবপত্র। সন্ধ্যার পর কার্যালয়ের নিচতলায় বসে মাদকসেবীদের আড্ডা, আবার কিছু কক্ষ ব্যবহার হচ্ছে শৌচাগার হিসেবে।

ভোলার চরফ্যাশনে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এখন এনসিপির সাইনবোর্ড। দখলে নিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। একইভাবে বরগুনার আমতলিতে দলীয় কার্যালয়টি এখন বিএনপির দখলে। যশোর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, নোয়াখালীসহ বহু জেলায় এসব কার্যালয় ধ্বংস হয়ে পড়ে আছে, কোথাও আবার হয়েছে ব্যবসার স্থান।

এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের পুনরায় কোনো কার্যক্রম যেন শুরু না করতে পারে, সে বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব দপ্তর সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব কার্যালয়ের বর্তমান অবস্থা দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতাকে আরও স্পষ্ট করে তুলছে।

RELATED NEWS

Latest News