Tuesday, September 9, 2025
Homeখেলাধুলাকাঠমান্ডুতে সহিংসতার কারণে স্থগিত বাংলাদেশ-নেপাল প্রীতি ম্যাচ

কাঠমান্ডুতে সহিংসতার কারণে স্থগিত বাংলাদেশ-নেপাল প্রীতি ম্যাচ

রাজনৈতিক অস্থিরতায় স্থগিত হলো ডাসরাথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে নির্ধারিত খেলা

কাঠমান্ডুতে চলমান সহিংস পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডাসরাথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

শনিবার প্রথম ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হওয়ার পর দুই দলই দ্বিতীয় ম্যাচকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছিল। স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নেপালে হঠাৎ উত্তেজনা ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় ম্যাচটি বাতিল করতে বাধ্য হয় অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএনএফএ)।

এক বিবৃতিতে এএনএফএ জানায়, “বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার রেড বুল ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল ২০২৫ টুর্নামেন্টের ম্যাচ স্থগিত করা হলো। এ জন্য আমরা সকল সমর্থকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।”

সোমবার সকালে নেপালের তরুণদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দুপুরের মধ্যেই সহিংস রূপ নেয়। দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। শহরের বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতি দুই দলের প্রস্তুতিকেও প্রভাবিত করে। বিকেল ৩টায় ডাসরাথ স্টেডিয়ামে অনুশীলনের পরিকল্পনা থাকলেও বাংলাদেশ দলকে দুপুরেই জানানো হয় হোটেল ছেড়ে আগে বের হতে হবে। পরে সহিংসতা তীব্র হলে তাদের একেবারেই বের না হতে বলা হয়। শেষ পর্যন্ত তারা হোটেলেই ৯০ মিনিটের ইনডোর সেশন করে। নেপাল দলও মাঠে গিয়ে অনুশীলন শুরু করলেও পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ফিরে আসে।

বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা ম্যাচটির গুরুত্ব নিয়ে আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে আশাবাদী ছিলেন। তিনি বলেন, “প্রথম ম্যাচে আমাদের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি গর্বিত। দ্বিতীয় ম্যাচও কঠিন হবে, তবে জয়ের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”

বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটির বিশেষ তাৎপর্য ছিল। কাঠমান্ডুতে ২০১৩ সালের মার্চের পর নেপালের বিপক্ষে কোনো জয় পায়নি দলটি। শেষবার নেপালের বিপক্ষে জিতেছিল ঢাকায়, ২০২০ সালের নভেম্বরে।

কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতা ফুটবলের আনন্দ ছাপিয়ে গেল। বাড়তে থাকা সহিংসতার মধ্যে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ম্যাচ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় এএনএফএ। বাংলাদেশ দল অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে হোটেলেই অবস্থান করছে।

RELATED NEWS

Latest News