প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৫, ৫:২৭ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনপূর্ব সংস্কার ও নিরপেক্ষ উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একটি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।
এক আলোচনায় বিএনপির শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, সরকারের বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে নতুন উপদেষ্টা পরিষদ গঠন জরুরি, যাতে প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা যায়। তাদের দাবি, আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী রাজনৈতিক, পারিবারিক ও পেশাগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যা ন্যায়বিচারের দাবি তুলে ধরেছে।
বিএনপির নেতারা বলেন, বিচারের প্রক্রিয়ায় স্বাধীন বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। তারা আশ্বাস দিয়েছেন, এই সরকার যদি বিচার সম্পন্ন না করে, তবে বিএনপি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে সেসব ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিচার করবে। তবে এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন তারা।
আলোচনায় বিএনপি আরো জানায়, তাদের উদ্দেশ্য কখনোই প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চাওয়া নয়। বরং তারা প্রথম দিন থেকেই এই সরকারকে সহায়তা করে আসছে। বিএনপি বলছে, গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করে, সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিশ্চিত করতে হবে।
নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কার, বিচার প্রক্রিয়া এবং প্রশাসনিক নিরপেক্ষতার বিষয়ে আলোচনায় সরকার ও বিএনপি উভয় পক্ষেই মতৈক্যের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। বিএনপি সূত্র জানায়, সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব এবং এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকেও দ্বিমত প্রকাশ করা হয়নি।
বিএনপি মনে করে, নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা, প্রশাসনিক দায়িত্ব বণ্টন এবং নির্বাচনী কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সংস্কার প্রয়োজন। তারা এও বলছে, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক পরিবেশ নিরপেক্ষ না হলে অবাধ ভোট সম্ভব নয়।
শেষ পর্যন্ত বিএনপি বলেছে, তারা সরকারের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করবে এবং প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাবে। তবে মূল দাবি তিনটি—নির্বাচনপূর্ব সংস্কার, বিচার নিশ্চিতকরণ ও নিরপেক্ষ উপদেষ্টা পরিষদ গঠন। এই দাবিগুলোর ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তবেই তা হবে দেশের গণতন্ত্রের সঠিক পথে অগ্রযাত্রা।