ওয়াশিংটন ডিসিতে এবার ন্যাশনাল গার্ড সদস্যরা অস্ত্র বহন করবেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে রাজধানীতে অপরাধ দমনের অংশ হিসেবে কয়েক দিন আগে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়। এবার সেই সদস্যদের অস্ত্র বহনের অনুমতি দেওয়া হলো। যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স ডিসি (JTF-DC) জানিয়েছে, সেবামূলক দায়িত্ব পালনের সময় শিগগিরই তাদের হাতে অস্ত্র থাকবে।
ওয়াশিংটনে ইতোমধ্যে ১ হাজার ৯০০ এর বেশি ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন রয়েছে। শুধু স্থানীয় বাহিনী নয়, রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন রাজ্যগুলো যেমন ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, সাউথ ক্যারোলাইনা, ওহাইও, মিসিসিপি, লুইজিয়ানা এবং টেনেসি থেকেও সেনা পাঠানো হয়েছে।
ট্রাম্প জানান, ওয়াশিংটনের পর শিকাগো এবং নিউইয়র্কেও একইভাবে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হবে। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমরা আমাদের শহরগুলোকে খুব নিরাপদ করব। শিকাগো হবে পরবর্তী লক্ষ্য, এরপর নিউইয়র্ক।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করে ওয়াশিংটনে দীর্ঘ সময় ন্যাশনাল গার্ড রাখার বিষয়েও আলোচনা করছেন।
ট্রাম্প এবং রিপাবলিকান রাজনীতিবিদরা দাবি করেছেন, ওয়াশিংটন অপরাধ, গৃহহীনতা এবং আর্থিক বিশৃঙ্খলায় জর্জরিত। তবে ওয়াশিংটন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালে সহিংস অপরাধের হার ৩৫ শতাংশ কমেছে, যা গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগও জানায়, ২০২৪ সালে শহরটির অপরাধের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
ওয়াশিংটনের মেয়র মুরিয়েল বাউসারের বিরুদ্ধে ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, তিনি “ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য” দিচ্ছেন। এ ছাড়া শহরটি ফেডারেল সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
ন্যাশনাল গার্ড ছাড়াও ফেডারেল আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, বিশেষ করে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) ওয়াশিংটনে কার্যক্রম বাড়িয়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ ও প্রতিবাদ দেখা দিয়েছে।
এর আগে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসনবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে ন্যাশনাল গার্ড ও মেরিন মোতায়েন করেছিলেন ট্রাম্প। ১৯৬৫ সালের পর এটাই প্রথমবার যখন কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট কোনো অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের সম্মতি ছাড়াই ন্যাশনাল গার্ড পাঠালেন।