গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শুক্রবার অন্তত ৬৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। এর মধ্যে কেবল গাজা সিটিতেই নিহত হয়েছেন ৩৭ জন। চিকিৎসা সূত্রের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গাজা সিটির শেখ রাদওয়ান এলাকায় একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হন। ওই স্কুল প্রাঙ্গণে তাঁবু টাঙিয়ে বহু ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের সবাই সাধারণ মানুষ।
আল জাজিরা প্রকাশিত ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, একটি কোয়াডকপ্টার ড্রোন টার্গেট নির্ধারণ করে বোমা নিক্ষেপ করছে। হামলার পরপরই সেখানে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।
এ ছাড়া গাজার তুফ্ফাহ এলাকায় এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা বলে জানিয়েছে আল-আহলি হাসপাতালের এক চিকিৎসক।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, হামাস যদি যুদ্ধবিরতির শর্ত না মানে তবে গাজা সিটি ধ্বংস করে দেওয়া হবে। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “যুদ্ধ শেষ করার শর্ত মানতে হামাস অস্বীকৃতি জানালে তাদের মাথার ওপর নরকের দরজা খুলে যাবে।”
কাটজ পুনর্ব্যক্ত করেন, যুদ্ধবিরতির শর্তগুলো হলো—সব বন্দিকে মুক্তি এবং হামাসের পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ। অপরদিকে হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধ বন্ধের শর্তে তারা বন্দি মুক্তি দিতে রাজি তবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া নিরস্ত্রীকরণের প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়।
এদিকে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিয়েছে হামাস। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, অবশিষ্ট বন্দিদের মুক্তি ও যুদ্ধ সমাপ্তির জন্য অবিলম্বে আলোচনা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তবে একই সঙ্গে নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, গাজা সিটিতে একটি বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা অচিরেই শুরু হতে পারে।
ইসরায়েলের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এ অভিযান জীবিত থাকা প্রায় ২০ জন বন্দির প্রাণসংহারী হতে পারে। তবে নেতানিয়াহুর দাবি, হামাসকে ধ্বংস করাই যুদ্ধের প্রধান লক্ষ্য এবং এই অভিযানই বন্দিদের মুক্ত করার কার্যকর উপায়।