সরকার অক্টোবরে প্রস্তাবিত নতুন শ্রম আইনে গৃহকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। এটি তাদের অধিকার এবং কাজের শর্ত উন্নত করার জন্য নেওয়া উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন শ্রম সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান।
তিনি বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় সমন্বয় সভায় এই মন্তব্য করেন। সভায় সরকারি কর্মকর্তারা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা, শ্রম অধিকারকর্মী, আন্তর্জাতিক অংশীদার এবং গৃহকর্মী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভাটি যৌথভাবে আয়োজন করে অক্সফাম, ক্যাম্প, এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO), এবং সহায়তা করেছে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
সভায় বক্তারা আরও উল্লেখ করেছেন, গৃহকর্মীদের কার্যকরভাবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সমন্বয় ব্যবস্থার উন্নয়ন, শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন এবং তাদের দক্ষ শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি নিশ্চিত করা জরুরি।
মূল সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে সমন্বয়ের জন্য একটি বিশেষ ফোরাম গঠন, জাতীয় জনমূখ্যে গৃহকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করা, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও শিশু পরিচর্যার সুবিধা নিশ্চিত করা, দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদান এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাধ্যমে একটি সারাদেশীয় জরিপ করা।
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন কানাডিয়ান হাই কমিশন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ILO এবং বাংলাদেশ শ্রম ফেডারেশনের প্রতিনিধিরা।
ILO বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার সৈয়দা মনিরা সুলতানা গৃহকর্মীদের মর্যাদা ও অধিকার রক্ষায় অব্যাহত সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।