ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থানরত বাংলাদেশি রাজনৈতিক নেতাদের কার্যক্রম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট। এতে দাবি করা হয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রতি সপ্তাহে কলকাতা থেকে দিল্লি গিয়ে ভারতের উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক অস্থিরতার পর গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে এক হাজারের বেশি আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ভারতে প্রবেশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে এক সাবেক সংসদ সদস্য দ্য প্রিন্টকে জানান, কামাল দিল্লি সফরের সময় সেখানে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করছেন। কলকাতায় ফেরার পর তিনি প্রতিদিনই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন এবং তাঁদের মনোবল ধরে রাখার চেষ্টা করছেন।
উক্ত সাবেক সাংসদের ভাষ্য অনুযায়ী, কামালের বার্তা হচ্ছে, “আমরা এখানে বিশ্রাম নিতে আসিনি। আমরা এসেছি বাঁচতে এবং আগামী দিনের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে।”
দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতও ভারতে অবস্থান করছেন এবং দলীয় কাজ নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকে বাংলাদেশ বড় ধরনের সংকটে পড়েছে এবং তিনি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শুধু আওয়ামী লীগ নেতারাই নন, তাঁদের সঙ্গে আছেন সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের কর্মী, সেনা কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং কূটনীতিকও, যাঁরা বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযানের পর দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। একজন সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা দাবি করেন, এ সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ নেতাদের জীবনযাত্রা একটি নির্দিষ্ট ছকে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। তাঁরা ফজরের নামাজের পর হাঁটাহাঁটি বা জিমে যান, সন্ধ্যায় অনলাইনে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং দেশে ফেরার আশা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
এক সাবেক সাংসদ জানান, তিনি কলকাতার নিউ টাউনে আরেক এমপির সঙ্গে একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন। ভোরে নামাজ শেষে দুজন মিলে স্থানীয় জিমে যান। তিনি ওজন প্রশিক্ষণ করেন আর তাঁর সহকর্মী পিলাটিস ক্লাসে অংশ নেন।
