প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২৫, ১০:৫১ পিএম
হবিগঞ্জ প্রতিবেদক
শহরের কোলাহল পেরিয়ে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার গুনই দক্ষিণ কাঞ্চনপাড়া গ্রামে এক ব্যতিক্রমী খামার গড়ে তুলেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহ আলমগীর বাদশাহ। পুকুর, ফলবাগান আর ছায়াঘেরা গরুর খামার মিলিয়ে গড়ে ওঠা এই কৃষিভিত্তিক উদ্যোগের নাম দিয়েছেন ‘আল্লাহর ভরসা গুনই খামার’।
১২ কেড় জমির ওপর গড়ে ওঠা এই খামারে আছে মাছ, রাজহাঁস, আম, কলা, কামরাঙ্গা সহ বিভিন্ন ফলের বাগান। সব মিলিয়ে এটি শুধু একটি খামার নয় বরং প্রকৃতি ও পরিশ্রমের সফল মিলনমেলা।
এই খামারের মূল আকর্ষণ বর্তমানে কোরবানির জন্য প্রস্তুত দেশীয় জাতের ১৫টি গরু। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে বড় করা এই গরুগুলোতে কোনো ইনজেকশন বা রাসায়নিক উপাদানের ব্যবহার করা হয়নি।
গরুগুলোর ওজন ১৫০ থেকে ৩০০ কেজির মধ্যে। দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকার মধ্যে। খামার মালিক জানান, “বেশিরভাগ মানুষ মাঝারি সাইজের দেশি গরু চায়। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমি মাঝারি গরুতেই মনোযোগ দিচ্ছি।”
গরুর পরিচর্যায় রয়েছে নিয়মিত দুইজন কর্মী, যারা গোসল, খাবার ও পানির সময়মতো সরবরাহ নিশ্চিত করেন। গরুর জন্য নিজস্ব খাদ্য তৈরি এবং স্বাস্থ্য পরিচর্যা প্রতিদিন নির্ধারিত রুটিনে হয়।
এই খামার ইতোমধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে নজর কেড়েছে। অনেক ক্রেতা খামার পরিদর্শনে এসে গরু দেখে যাচ্ছেন, দামও হাঁকাচ্ছেন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে আলমগীর বাদশাহ বলেন, “ইনশাল্লাহ ২০২৬ সালে কোরবানির জন্য ১০০টি গরু প্রস্তুত করার লক্ষ্য নিয়েছি। আল্লাহ তৌফিক দিলে এই খামারকে আরও বড় পরিসরে নেব।”
এই খামার শুধু অর্থনৈতিক সাফল্যের দিক থেকে নয়, বরং তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য একটি অনুপ্রেরণার উৎসও হয়ে উঠেছে। যেখানে ইচ্ছা, পরিশ্রম আর প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা মিলেই সফলতার পথ তৈরি হয়।