বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ নাথান কাইলি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে দলের ক্রিকেটাররা সেপ্টেম্বরের এশিয়া কাপ টি-২০ টুর্নামেন্টে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কঠোর গরমে মানিয়ে নিতে শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকবে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক কঠোর ফিটনেস সেশনের পর কাইলি বলেন, আন্তর্জাতিক ঘন কর্মসূচির মাঝেও দলের খেলোয়াড়রা চমকপ্রদ উন্নতি করছে।
তিনি জানান, “আমাদের খেলোয়াড়রা অত্যন্ত পরিশ্রম করছে। আজকের প্রশিক্ষণ ছিল কঠিন কিন্তু তারা তা ভালোভাবে পার করছে। তাদের মনোভাব এবং প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়।”
বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিশেষ চ্যালেঞ্জ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন দেশের ক্রিকেটে কোনো নির্দিষ্ট অফ-সিজন না থাকা। “অন্যান্য দেশের মতো দীর্ঘ সময়ের বিশ্রাম এখানে নেই। তাই আমাদের ছোট ছোট বিরতির সময়ে শারীরিক উন্নয়নের কাজ করতে হয়।”
গত কিছু দিন আগে জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৬০০ মিটার টাইম ট্রায়াল এবং স্প্রিন্ট টেস্টে ১২ জন ব্যক্তিগত সেরার রেকর্ড করেছেন। কাইলি বলেন, “আমরা মোট ৫৬টি ব্যক্তিগত সেরা ফল পেয়েছি, যা দলটির উন্নতির প্রমাণ।”
টাইম ট্রায়াল কাইলির পছন্দের ফিটনেস মূল্যায়ন পদ্ধতি। তিনি জানান, “এটি সরল, যেকোনো ক্রিকেট মাঠে করা যায় এবং সরঞ্জাম প্রয়োজন হয় না। এতে ফলাফল স্পষ্ট পাওয়া যায়।”
তিনি আরও বলেন, “শক্তিশালী, দ্রুতগামী ও ফিট খেলোয়াড়দের খেলা আরও বৈচিত্র্যময় হয়। ব্যাটসম্যানরা শক্তি ও গতি বেশি থাকলে খেলার বিকল্পও বেশি পায়। ফিল্ডিং ও দীর্ঘ সময় ধরে খেলা চালিয়ে যাওয়াতেও এটির ভূমিকা থাকে।”
অস্ট্রেলিয়ান কোচ কাইলি দলের ক্রিকেটারদের অভ্যন্তরীণ উদ্দীপনা নিয়ে সন্তুষ্ট। “তাদের মোটিভেশন নিজেই অনেক বেশি। আমাকে আলাদা করে উৎসাহিত করতে হয় না।”
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ফিটনেস পরিকাঠামোর উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তাও তিনি উল্লেখ করেছেন। “এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে তিনজন কোচ আছেন, যেখানে ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ায় ২০ থেকে ৩০ জন। স্থানীয় প্রশিক্ষকদের দক্ষতা বাড়ানোই আমার কাজের অন্যতম অংশ।”
কাইলির এই অভিমত থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এশিয়া কাপের জন্য শরীরচর্চায় যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছে এবং কঠিন আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে সক্ষম হবে।