ভারতের মেঘালয় সীমান্তে ১০ আগস্ট থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত ‘অপারেশন অ্যালার্ট’ নামে একটি বিশেষ নিরাপত্তা অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। এই অভিযান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সীমান্ত এলাকায় সুনিশ্চিত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চালানো হচ্ছে।
বিএসএফ-এর একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অভিযানটি রাজ্য পুলিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে। সীমান্তের বিভিন্ন অগ্রভাগে অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। ফ্রন্টিয়ার (এফটিআর) হেডকোয়ার্টার এবং সেক্টর হেডকোয়ার্টার থেকে সিনিয়র কর্মকর্তারা সীমান্তে এসে সরাসরি অভিযান তদারকি করছেন।
অভিযানে এলাকাজুড়ে নিয়মিত ও সারাদিন চলা পাহারা, হঠাৎ নাকা চেক এবং নদীপথে পাহারা বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। গরু চোরাচালান, অবৈধ পারাপার এবং চোরাচালানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভূমি ও নদী পথে সব ধরনের সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা নিয়মিত নজরদারিতে রাখা হয়েছে। নৈশ দৃষ্টি ব্যবস্থা এবং মোবাইল টহলদল ব্যবহার করে ২৪ ঘণ্টা সীমান্ত রক্ষা চলছে।
বিএসএফ শিলং-এর ইন্সপেক্টর জেনারেল ওপি উপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘অপারেশন অ্যালার্ট’ আমাদের দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার প্রতিফলিত করে। এই অভিযান স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত চালু থাকবে এবং মেঘালয় সীমান্তজুড়ে শক্তিশালী নিরাপত্তা গড়ে তোলা হবে।
এদিকে, ২০২৫ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (২৫ এপ্রিল থেকে ২৫ জুলাই) বিএসএফ মেঘালয় ৩৩টি বড় ধরনের জব্দের খবর দিয়েছে। এই সময়কালে ৩৫ জন (২৩ ভারতীয় এবং ১২ বাংলাদেশি) আটক করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের চোরাচালানের পণ্য যার মূল্য ৩৯ লক্ষ রুপি ছাড়িয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিএসএফ মেঘালয় মোবাইল ডিসপ্লে জব্দ করেছে যার মূল্য ৩১ লক্ষ রুপির বেশি, যা চোরাচালানের নতুন ধারা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
এই সময়কালে অবৈধ সন্ত্রাস ও চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১১৬ বাংলাদেশি ও ৩৪ ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজন (দুই ভারতীয় ও দুই বাংলাদেশি) দালাল হিসেবে সীমান্ত পেরিয়ে যাওয়ার কাজে লিপ্ত ছিল।
সীমান্তে এই বিশেষ অভিযান চলমান থাকায় আশা করা হচ্ছে নিরাপত্তা আরও দৃঢ় হবে এবং সন্ত্রাস ও চোরাচালান কমবে।