বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান তারেক রহমান মঙ্গলবার দেশের যুবসমাজকে বিএনপির ৩১ পয়েন্টের রাষ্ট্র সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গঠনে সমর্থন দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ আয়োজিত এক যুব সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, প্রচলিত রাজনৈতিক স্লোগানের যুগ শেষ, এখন মানুষ বাস্তব পরিকল্পনা এবং পরিবর্তনের রাজনীতি চাইছে।
তারেক রহমান বলেন, “বিএনপি দেশের প্রতিটি খাতের জন্য সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে এবং ক্ষমতায় এলে তা বাস্তবায়ন করবে। আমাদের লক্ষ্য প্রযুক্তিভিত্তিক যুব সমাজ গড়ে তোলা এবং বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনসংখ্যার অধিকাংশই কর্মক্ষম বয়সের, যা দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে পারে। এজন্য তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও দক্ষতা বিকাশের মাধ্যমে এই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বাস্তবায়ন করা সম্ভব।”
তারেক রহমান আরও বলেন, যুবসমাজকে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও উৎসাহিত করা হবে। তিনি প্রস্তাব করেন, পাঠ্যক্রমে খেলাধুলাকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যাতে এটি পেশা হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “বিএনপিকে অবরুদ্ধ করার জন্য বিরোধীরা মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। ১৫ বছর ধরে আমরা ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রামে রয়েছি, আমাদের নেতা বহিষ্কৃত এবং নেতা শহীদ হয়েছেন। আমাদের আন্দোলনের লক্ষ্য রাষ্ট্র সংস্কার এবং জনগণের উন্নয়ন।”
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি বলেন, “বাংলাদেশ এখন একটি মোড় ঘুরিয়ে দিচ্ছে। আমাদের যুবসমাজ এগিয়ে আসতে হবে এবং ফ্যাসিবাদ ধ্বংস করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে হবে।”
জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান বব্বি হাজ্জাজ বলেন, “অপহরণ এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য বিএনপি দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। নতুন বাংলাদেশে এই অপরাধের স্থান থাকবে না।”
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সঞ্চালনায় ছিলেন যুবদল সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন এবং ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নসির উদ্দিন নাসির। এছাড়া অন্যান্য নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন।