গাজার যুদ্ধক্ষেত্রে কাজ করা সাংবাদিকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইনগত দিক নিয়ে আলজাজিরার সঙ্গে কথা বলেছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী জনাথন কুততাব। তিনি জানান, যুদ্ধকালীন সময় সাংবাদিকদের নির্দিষ্ট আইনি সুরক্ষা রয়েছে যা তাদের অসামরিক হিসেবে পাওয়া সুরক্ষার পাশাপাশি রয়েছে। কারণ, সাংবাদিকরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো কাভার করার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
কুততাব আরও বলেন, ঐতিহাসিকভাবে এই বিধিগুলো যুদ্ধে নিয়োজিত পক্ষগুলো বেশিরভাগ সময় সম্মান করে এসেছে। তবে গাজার এই সাম্প্রতিক সংঘর্ষে সাংবাদিক হত্যার হার এমন এক উচ্চতায় পৌঁছেছে যা ইতিহাসের অন্যান্য বড় বড় যুদ্ধে ঘটেনি।
তিনি বলেন, “এই দুই বছরে গাজার ছোট এই যুদ্ধে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ভিয়েতনাম যুদ্ধ, কোরিয়া যুদ্ধ, এবং ইউক্রেন যুদ্ধ মিলিয়ে যে সংখ্যক সাংবাদিক মারা গেছেন তার চেয়েও বেশি।”
কুততাবের বক্তব্য, গাজার এই যুদ্ধে সাংবাদিক হত্যার পেছনে রয়েছে একটি পরিকল্পিত নীতি। এই নীতির লক্ষ্য আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া এবং ঘটনার সত্যতা আড়াল করা।
তিনি বলেন, “সাংবাদিকদের খুন করে এবং আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে সত্য উদ্ঘাটনের পথ বন্ধ করা হচ্ছে। আলজাজিরাকে, যেটি একমাত্র আন্তর্জাতিক বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ মাধ্যম হিসেবে গাজার ঘটনাগুলো দেখায়, তা বিশেষভাবে টার্গেট করা হচ্ছে।”
তথ্য অনুসারে, গাজার যুদ্ধের ফলে অন্তত ৬১,৪৯৯ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ২৭০ জনেরও বেশি সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মী রয়েছেন, যারা মূলত ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন ১,৫৩,৫৭৫ জন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলায় নিহত হয়েছেন ১,১৩৯ জন এবং ২০০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।