সুদানের দারফুরে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) সোমবার এক দুর্ভিক্ষাক্রান্ত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৪০ জন নিরীহ নাগরিককে হত্যা করেছে এবং ১৯ জনকে আহত করেছে বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছে।
স্থানীয় জরুরি প্রতিক্রিয়া কক্ষে জানানো হয়েছে, আরএসএফ আবু শৌক শিবিরে প্রবেশ করে ঘরবাড়িতে এবং সড়কে গুলি চালিয়েছে। আবু শৌক শরণার্থী শিবিরটি পশ্চিম দারফুরের এল-ফাশার শহরের উত্তরে অবস্থিত, যা এখনো সুদানি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সুদানি সেনা এবং আরএসএফের মধ্যে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সংঘর্ষ চলছে।
গত কয়েক মাসে উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশার ও আশেপাশের শরণার্থী শিবিরগুলো আবারো আরএসএফের আক্রমণের মুখে পড়েছে। এর আগের দিকে, এ বছরের শুরুতে আরএসএফ খার্তুম থেকে সরে যাওয়ার পর দারফুরে তাদের কার্যক্রম বাড়িয়েছে।
এপ্রিল মাসে আরএসএফের জমজম শরণার্থী শিবিরে এক বড় আক্রমণের ফলে দশ হাজারের বেশি মানুষ আবারো আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিল, যারা এখন এল-ফাশারের আশ্রয়ে আছে।
দারফুরের প্রায় সমগ্র এলাকা আরএসএফ ও তাদের সহযোগীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, আর সুদানের উত্তর, পূর্ব ও মধ্যাঞ্চল সুদানি সেনাবাহিনীর অধীনে আছে।
এ সংঘর্ষ তিন বছর ধরে চললেও তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং এটি জাতিসংঘের মতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতি ও দুর্ভিক্ষ সংকট।
গত বছর এল-ফাশারের আশেপাশের তিনটি শরণার্থী শিবিরে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়, যার মধ্যে আবু শৌক শিবিরও রয়েছে। জাতিসংঘ পূর্বাভাস দিয়েছিল, এই দুর্ভিক্ষ এল-ফাশার শহরে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে গত মে মাসের মধ্যেই।
তবে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে এখনও শহরে আনুষ্ঠানিক দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়নি।