গ্রিক পুরাণের কিং মিদাসের মতো, বাংলাদেশের নারী ফুটবলেও আছে একজন ‘কিং মিদাস’। তার নাম পিটার জেমস বাটলার। তিনি যেখানেই কাজ করেন, সাফল্যের সোনালি ছোঁয়া নিয়ে আসেন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সোমবার প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় বাটলার বলেন, “গত বছরের চাইনিজ তাইপেইয়ের বিপক্ষে ম্যাচের পর থেকে আমাদের উন্নতি শুরু।” তিনি আরও যোগ করেন, “ফিফা র্যাংকিংয়ে আমাদের উন্নতি মূলত একটি প্রতিযোগিতামূলক এবং সুস্থ পরিবেশ তৈরির কারণে।”
আন্ডার-২০ দলের সঙ্গে বাটলার আবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নিয়েছেন এবং এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারে কোয়ালিফাই করেছেন। গত আগস্টে ১৩৯তম স্থান থেকে এখন দলের ফিফা র্যাংকিং বেড়ে ১০৪তম।
বাংলাদেশের তরুণ Tigresses লাওস ও তিমুর-লেস্টের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। খেলোয়াড়রা কৌশলগত ও প্রযুক্তিগতভাবে সাবলীল ছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে কঠিন ম্যাচে বাটলার বললেন, “প্রথমার্ধে আমরা ১-১ স্কোরে সমতায় ছিলাম। তবে দ্বিতীয়ার্ধে খেলোয়াড়দের ক্লান্তিতে ভুল হয়ে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “প্রথমার্ধে আমরা ভালো খেলেছি, টেক্কা দিয়েছি।”
সাফ ইউ-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে মিষ্টি সাগরিকাকে নিষিদ্ধের পর শ্রী মটি তৃষ্ণা রানিকে দলে নেওয়া হয়। যদিও সুযোগ নষ্ট করলেও তৃষ্ণা চার গোল করেছেন, যেগুলো দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
টিমের সেট-পিস থেকেও গোল করার দক্ষতা বেড়েছে। তিমুর-লেস্টের বিপক্ষে কর্নার থেকে তিনটি গোল এসেছে, যার মধ্যে শানতি মার্ডির অলিম্পিক গোল ছিল বিশেষ।
পিটার বাটলার সতর্ক করে বলেন, “সাফল্য দ্রুত আসে, দ্রুত হারাতেও পারে। তাই আমাদের বাস্তববাদী থেকে কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে।” তিনি লক্ষ্য করেছেন ফিফা র্যাংকিং একশর নিচে নিয়ে আসাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশ নারী ফুটবলের এই অগ্রগতির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে বাটলার ও তার টিম প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।