প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে বিচার বিভাগ দেশের একমাত্র ধারাবাহিকভাবে কার্যকর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হলেও এখনো শক্ত অবস্থান নিতে পারেনি।
রবিবার রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে প্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতার দাবিকে সংসদ বা মন্ত্রিসভার ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা হিসেবে দেখা বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ শুধু রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অন্য দুই অংশের সমান মর্যাদা চায়।
তিনি প্রস্তাব করেন, আলাদা বাংলাদেশ সচিবালয় গঠন করলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বাস্তবায়ন সহজ হবে। প্রধান বিচারপতির ভাষ্যে, প্রয়াত এ জে মোহাম্মদ আলীও বিশ্বাস করতেন, অবকাঠামোগত ভিত্তি ছাড়া বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কেবল স্বপ্ন হিসেবেই থেকে যাবে।
এ জে মোহাম্মদ আলীর মতে, আদালতগুলো সাংবিধানিক সুরক্ষা ও বিচার বিষয়ক প্রশাসনিক ক্ষমতা না পেলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
২০০৫ সালের সংস্কার আইনের প্রসঙ্গ তুলে প্রধান বিচারপতি বলেন, এই আইন রাষ্ট্রের তিনটি শাখার মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা এবং সমন্বয় নিশ্চিত করেছিল। এর ফলে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছিল।