প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২৫, ৬:৩০ এএম
বিশেষ প্রতিবেদক
কেটো, সাউথ বিচ, কার্নিভোর, হোল৩০, প্যালিও বা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং—শোনার সঙ্গে সঙ্গেই মনে হতে পারে এগুলো যেন কোনো বিলাসবহুল ছুটির গন্তব্য। কিন্তু আদতে এসবই সাম্প্রতিক সময়ের ডায়েট ট্রেন্ড যা দ্রুত ওজন কমানো বা পেশি গঠনের আশায় অনেকেই অনুসরণ করেন।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সব ফ্যাড ডায়েট বা সাময়িক ডায়েট পদ্ধতির বেশিরভাগই দীর্ঘস্থায়ী নয় এবং অনেকে এক পর্যায়ে হতাশ হন।
উদাহরণস্বরূপ, সাউথ বিচ ডায়েটের শুরুটা ছিল হার্টের অসুস্থতা ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে। পরে তা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই ডায়েট মূলত খারাপ কার্ব কমিয়ে প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি গ্রহণের উপর জোর দেয়। কিন্তু এর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
কার্নিভোর ডায়েট শুধুমাত্র মাংসনির্ভর হওয়ায় অনেকেই একে অসহনীয় মনে করেন। হোল৩০ ডায়েটে বাদ পড়ে চিনি, অ্যালকোহল, শস্য, দুগ্ধজাত পণ্য এমনকি ডালও। তাই অনেকেই জিজ্ঞেস করেন, “তাহলে খাবোটা কী?”
আর কেটো ডায়েট সম্পর্কে তো প্রায় সবাই জানেন—এটি উচ্চমাত্রার চর্বি, মাঝারি প্রোটিন ও খুবই কম কার্ব গ্রহণের ওপর নির্ভরশীল। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই দেখা যায় কেটো গ্রুপ, কেটো রেসিপি ও কেটো প্রোডাক্ট। যদিও অনেকেই প্রথমে ওজন কমাতে সক্ষম হন, তবে প্রিয় খাবারে ফিরে গেলে ওজন দ্রুত ফিরে আসে।
প্যালিও ডায়েট আবার আদিম মানুষের খাদ্যাভ্যাসকে অনুসরণ করে, যাতে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য নিষিদ্ধ। আর মেদিটারেনিয়ান ডায়েটে গুরুত্ব পায় তাজা শাকসবজি, ফল, মাছ, অলিভ অয়েল ও বাদাম।
তবে যেকোনো ডায়েট শুরু করার আগে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ কোন ডায়েট কার জন্য উপযোগী তা নির্ভর করে ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ও জীবনধারার উপর।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ফ্যাড ডায়েটের চক্র থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের উচিত এমন খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা যা দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকতে পারে এবং সুস্থ জীবন নিশ্চিত করতে পারে।
তাদের বার্তা পরিষ্কার—“যদি টিকসই হয়, তাহলেই উপযুক্ত।”