বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শুক্রবার জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি its political allies-এর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নেবে এবং নির্বাচিত হলে সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় তাদের অঙ্গীকার পালন করবে।
ঢাকার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত বিএনপির মিত্র ও মতদর্শী দলগুলোর বৈঠকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় সক্রিয় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি তার মিত্রদের সঙ্গে মিলে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়াই করবে।
তারেক রহমান আরও বলেন, নির্বাচিত হলে তারা “৩১ পয়েন্টের পরিকল্পনা” অনুযায়ী কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে মিত্রদের সঙ্গে কাজ করবে।
তিনি মিত্র দলগুলোর পক্ষ থেকে বর্ণনা করেন যে, তারা গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে, যা গত বছর সফল আন্দোলনে ফল পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, কিছু শক্তি এখনও নির্বাচনের স্থগিতকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে, তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
বৈঠকে ১২ দলের জোট, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি ও অন্যান্য দলগুলি বিএনপির পাশে থেকে যেকোনো নির্বাচনী বাধা প্রতিরোধে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নাজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও উপাধ্যক্ষ আবদুল আওয়াল মিন্টু।
অন্যদিকে ১২ দলের জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির খন্দকার লুৎফার রহমান এবং শ্রমিক পার্টির মুস্তাফিজুর রহমান ইরান সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি ও মিত্র দলগুলো আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান ধরে রাখতে এবং সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।