ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য প্রফেসর নীয়াজ আহমেদ খান ছাত্রাবাসগুলোতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পুনরায় অঙ্গীকার করেছেন। ছাত্রদলের নবঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রাবাসভিত্তিক রাজনীতির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিন্তু সম্প্রতি ছাত্রদল ১৮টি আবাসিক হলে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
শুক্রবার গভীর রাতে কমিটি বাতিলের দাবিতে কমপক্ষে সাতটি হলের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হন। রাত ১২টার দিকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ রাত ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলতে থাকে। এ সময় উপাচার্যের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, নারী শিক্ষার্থীদের তিনটি হল থেকে আলাদা স্মারকলিপি দেওয়া হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তারা ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই সাধারণ শিক্ষার্থী ও হল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি জানান।
বৈঠকে উপাচার্য প্রফেসর নীয়াজ আহমেদ খান জানান, ছাত্ররাজনীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে, তবে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হবে না। এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে পূর্ণাঙ্গ নিষেধাজ্ঞার দাবিতে অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে ছিল—ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের আবাসিক সুবিধা বাতিল, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা, সকল রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের গোপন ও প্রকাশ্য কমিটি বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দুর্বলতার জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং সময়মতো ডাকসু নির্বাচন আয়োজন।
রাত প্রায় ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে নিজ নিজ হলে ফিরে গেলেও ভেতরে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখেন। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নজরদারি বাড়িয়েছে।