ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২৫, ৫:০৫ পিএম
বিনোদন ডেস্ক
গোপন নথি ফাঁস ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতা নিয়ে দীর্ঘ বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র ‘The Six Billion Dollar Man’ এই সপ্তাহে কান চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ প্রদর্শনীতে দেখানো হয়েছে।
পরিচালক ইউজিন জারেকি নির্মিত এই তথ্যচিত্রে প্রথমবারের মতো সামনে এসেছে এমন দাবি, যেখানে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন ইকুয়েডরকে অ্যাসাঞ্জকে হস্তান্তরের বিনিময়ে ৬.৫ বিলিয়ন ডলারের আইএমএফ ঋণ দিতে চেয়েছিল।
তথ্যচিত্রটি অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক বন্দিত্ব, এক দশকেরও বেশি সময় লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয়, এবং সাংবাদিকতা ও প্রচারমাধ্যমে তাঁর ভূমিকা নিয়ে বিস্তৃত অনুসন্ধান তুলে ধরে। এতে তাঁর বিরুদ্ধে পরিচালিত পশ্চিমা প্রচারণার পেছনের কৌশল এবং দীর্ঘ বন্দিজীবনের প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়।
বিশেষ স্বীকৃতি ও পুরস্কার
চলচ্চিত্রটি এরই মধ্যে গোল্ডেন গ্লোবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সেরা তথ্যচিত্র বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে। কানে এটি ‘L’Oeil d’or’ স্পেশাল জুরি প্রাইজও অর্জন করে।
তথ্যচিত্রের মূল বার্তা
পরিচালক জারেকি অ্যাসাঞ্জকে “সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক বন্দি” হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, “তাঁর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্ররা যে পরিমাণ অপপ্রচার চালিয়েছে, তা অভূতপূর্ব।”
তথ্যচিত্রে উঠে আসে কীভাবে পেপাল ও ভিসা উইকিলিকসের অনুদান বন্ধ করে দেয়, কীভাবে স্বিডেনের মিথ্যা অভিযোগে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করা হয় এবং কীভাবে অ্যাসাঞ্জকে ‘ড. ইভিল’ রূপে প্রচার করে মিডিয়া।
অ্যাসাঞ্জের উপস্থিতি
তথ্যচিত্র প্রদর্শনীতে অ্যাসাঞ্জ নিজেও উপস্থিত ছিলেন, যা দর্শকদের মধ্যে আবেগঘন মুহূর্ত সৃষ্টি করে।
পরিচালকের উপলব্ধি
জারেকি বলেন, “আমি অ্যাসাঞ্জকে একজন দেবদূত হিসেবে দেখাতে চাইনি। আমি যা দেখেছি তা একটি ন্যায়ের লড়াইয়ের প্রতিচ্ছবি।”
তিনি আরও বলেন, “এই তথ্যচিত্র শুধু একজন ব্যক্তির নয়, বরং একটি আদর্শের লড়াইয়ের দলিল।”